বিজয়ার দিন বঙ্গ নারী নিজেকে ট্র্যাডিশনাল সাজেই দেখতে বেশি পছন্দ করে। চুল ছোট হোক বা লম্বা, কোঁকড়ানো চুল মুখের গড়নটাই অনেকটা পাল্টে দেয়। আজকাল কার্লার দিয়ে সহজেই চুল কার্ল করা যায়। কম ঘামলে কয়েক ঘণ্টা সুন্দর ভাবে তাকে ধরে রাখাও যায়।
অনেকের আবার প্রকৃতিগত ভাবেই কোঁকড়া চুল। তবে সমস্যা তার যত্ন নিয়ে। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও খুব অল্প সময়েই কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব ।
কোঁকড়া চুল সামলানো কঠিন, বড় হতেও সময়ও নেয় বেশি । আর এই কারণে অনেকেই স্ট্রেটনিংয়ের দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু এতে যত্ন করার ঝক্কি আরও অনেক বেশি । থেকে যায় চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।
কার্লার দিয়েই হোক বা প্রকৃতিগত ভাবেই কোঁকড়া হোক চুল— দশমীর দিন কি তবে এমন চুলের স্টাইল থেকে বঞ্চিত থাকবেন? একেবারেই তা নয়। কী ভাবে যত্ন নেবেন কোঁকড়া চুলের, রইল তার হদিশ ।
চুলের গোড়া থেকে যে প্রাকৃতিক সেরাম নিঃসৃত হয় তা কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে গোড়া পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে চুলে রুক্ষ ভাব আসে। চুল রুক্ষ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে শ্যাম্পুর আগে ভাল করে কন্ডিশনিং করে নিন ।
চুল মোছার জন্য গামছা বা খসখসে তোয়ালে ব্যবহার না করে বেছে নিন মাইক্রো ফাইবারের নরম তোয়ালে। ব্যবহার করতে পারেন সুতির গেঞ্জি কাপড়ের টি শার্ট বা টপ ।
ঘুমতে যাওয়ার সময় চুলে সাটিনের একটা স্কার্ফ জড়িয়ে শুতে যান। এতে চুলের ডগা ঘষা খায় না, ফলে স্প্লিট এন্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বিনুনি করে ঘুমাতে গেলে শেষ অংশটুকু গুটিয়ে বেঁধে নিন ।
শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা অয়েল মাসাজ করার আগে পুরো চুল কয়েকটা ভাগে ভাগ করে ক্লিপ করে নিন। এতে পুরো চুলে ভাল ভাবে মাসাজ করতে পারবেন।
চুল ভাল রাখতে চাইলে হেয়ার স্ট্রেটনার, ব্লো ড্রায়ারের ব্যবহার কমান। এ সব চুলের ব্যাপক ক্ষতি করে। একান্তই যদি ব্যবহার করতে হলে লাগিয়ে নিন হেয়ার ডিফিউজার।