সারা বছর তাঁদের দিনের সবটুকু সময় ঘিরে থাকে রাজনৈতিক কর্মব্যস্ততার টানাপড়েন। তবে বছরে এই এক দিন উৎসবের আমেজে একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দেন রাজ্যের তাবড় রাজনীতিবিদেরা।
ভাইফোঁটার স্নেহ-আবদার ভরা দিনে বোনের কাছ থেকে ফোঁটা নেন সবাই। ভাইয়ের কপালে তিলক এঁকে সুখ, সমৃদ্ধি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন বোনেরা। সঙ্গে থাকে ফুরফুরে আমেজে গল্প আর দেদার খাওয়াদাওয়া।
উৎসবের আবেগে ভেসে বোনেদের হাতে ফোঁটা নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রতি বারের মতো এ বারেও অনুষ্ঠান ছিল তাঁর ভবানীপুরের বাড়িতে।
সদাব্যস্ত দমকলমন্ত্রীর বাড়িতেও এ দিন পরিবেশ অন্য রকম। লেকটাউনের বাড়িতেই দিদি ও বোনের হাতে ফোঁটা নিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে নিমতার একটি ক্লাবে ভাইফোঁটা দেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
ঢালাও আয়োজনে বাঁশদ্রোণীতে ভাইয়ের বাড়িতে ভাইফোঁটা দিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়।
বিজেপির মুরলীধর লেনের রাজ্য দফতরে মহিলা দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেন রাহুল সিংহ।
ভাইফোঁটার আমেজ থেকে দূরে থাকেননি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনে স্থানীয় মহিলাদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেন তিনি।
পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁর বাড়ির এলাকার চেতলা অগ্রণী ক্লাবে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও ভাইফোঁটা দিতে দেখা গিয়েছে এই দিন।
দেবাশিস কুমার ত্রিধারায় নিজের বাড়িতেই ভাইফোঁটা নিয়েছেন এ বার। বোনেরা ভাইফোঁটার নানা আয়োজনের পাশাপাশি রান্না করতে ভোলেননি দাদার প্রিয় ভেটকি মাছও।