‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যম-দুয়ারে পড়ল কাঁটা’— দিদি-বোনেদের মুখে মুখে ফিরল মন্ত্র। শুধু কি তাঁরাই ভাইদের মঙ্গল চাইলেন? মোটেও না। ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ভরে রইল দু’তরফেরই ভালবাসা, আবদার, প্রতিশ্রুতি, আগলে রাখায়। বরাবরের মতো। টলিপাড়াও তার ব্যতিক্রম নয়। কেমন কাটল তারকাদের ভাইফোঁটা? দেখে নেওয়া যাক, তারই কিছু ঝলক।
তিন দিদি-বোনের ভালবাসা পেলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। পাতানো বোন, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী চন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ফোঁটা নিয়েছেন। আরও দুই বোনের (এক জনের নাম বনানী পাণ্ডে, অন্য জনের নাম উল্লেখ নেই) আশীর্বাদ ভরিয়ে দিয়েছে শুভশ্রীর স্বামীকে।
একই বাড়িতে অন্য ছবিও ক্যামেরাবন্দি। রাজের স্ত্রী, অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় ভাইফোঁটা দিলেন সুরকার জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এই প্রথম বার শুভশ্রীর ফোঁটা নিলেন জিৎ। রাজ-পত্নীর আয়োজনে তার পরে সাড়ম্বরে পেটপুজো। আরও দুই দাদাকেও ফোঁটা দিয়েছেন শুভশ্রী।
ভাই দূরে থাকলেও প্রতি বছর তাঁকে নিয়ম করে ফোঁটা দেন ঋদ্ধিমা ঘোষ। সৌজন্যে ভিডিও কলিং। এ বারও তাই। ট্যাবের সামনে চন্দন, ধান-দুব্বো, প্রদীপ, চকোলেট সাজানো। অভিনেত্রীর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ট্যাবজুড়ে ভাই অভিষেক ঘোষের হাসিমুখ।
ভাইফোঁটায় বোন মেঘার সঙ্গে ছবি দিয়েছেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। বাড়িতে হাজির অভিনেতার মামারা। বিক্রমের মা ফোঁটা দেন তাঁদের। সকাল থেকেই বাড়ি সরগরম। তবে এ বছর পেটপুজো থেকে বাদ বিক্রম। বোনের থেকে ফোঁটা নিয়েই ছুটতে হয়েছে ছবির ডাবিংয়ে।
‘আজকের দিনে আপনজনদের থেকে কর্মসূত্রে দূরে থাকতে মন খারাপ তো হয়ই। কিন্তু ভাই-বোনের বন্ধন সবসময় স্পেশাল... তাই এই দিনটায় দূরে থাকলেও ভালবাসা একই থেকে যায়।’ ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায় সহ দিদি-বোনদের ভালবাসা জানালেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ফোঁটা নেওয়ার ছ’টি ছবির কোলাজ।
দুই ভাইয়ের কপালে ‘দিঠি’র ফোঁটা। সঙ্গে একরাশ ভালবাসা এবং প্রার্থনা। ফোঁটার থালার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন ঐশী ভট্টাচার্য। ভাই-বোনদের বিশেষ দিনে নিজস্বী না তুললে হয়! সে দায়িত্বও মোটেই ভোলেননি ‘শ্রীময়ী’-র অভিনেত্রী।
ছিল ‘যম-দুয়ারে পড়ল কাঁটা’, হয়ে গেল ‘ভাই আমার ভাই’ আর ‘ভাই যুগ যুগ জিয়ো’। মন্ত্রে খানিক হেরফের হল বটে, কিন্তু প্রেম-ভালবাসায় ভাটা পড়েনি। মজাদার ভাইফোঁটায় মাতলেন রাজদীপ গুপ্ত ও তাঁর দিদি। বিদেশ ফেরত দিদি ভাইফোঁটার ছড়ায় ‘ফেল’। হেসে খুন অভিনেতা!
চার ভাইকে ফোঁটা দিয়ে আনন্দে মাতলেন ‘খড়কুটো’র চিনি। তার পরে বাড়ির ছাদে উঠে দেদার ছবি তোলা। অনুরাগীদের জন্য সেই সব মুহূর্তই তুলে ধরলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মিত্র।
‘জুন আন্টি’-র ভাইফোঁটায় দূর দূরান্ত থেকে ভাইদের সমাবেশ। আনন্দবাজার অনলাইনে ঊষসী চক্রবর্তী তাঁর ভাইদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন। কেউ ঝাড়গ্রাম থেকে এলেন ফোঁটা নিতে। কেউ আবার ঊষসীর হাতে প্রথম বার ফোঁটা নিলেন। জমজমাটি আড্ডা আর খাওয়া দাওয়ায় মজায় কাটল ‘জুন আন্টি’র ভাইফোঁটা।