আনন্দবাজার অনলাইনের পুজো শ্যুটের ফাঁকে অকপট ঋতুপর্ণা।
প্রায় কখনও পাওয়া যায় না তাঁকে। সকালে সিঙ্গাপুরে, তো বিকেলে বাংলাদেশে। যেন এক দেশ থেকে আর এক দেশে নিত্যযাত্রীর মতো ছুটে চলেছেন তিনি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তবু এই ব্যস্ততার মধ্যেও আনন্দবাজার অনলাইনের পুজোর শ্যুটিংয়ে হাজির তিনি। বর সঞ্জয় আর মেয়ের সব কিছু সামলে এসে আড্ডার জন্যও কিছুটা সময় বের করে নিলেন টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত নায়িকা। কী আড্ডা হল তাঁর সঙ্গে?
পুজোয় কলকাতায় নাকি সিঙ্গাপুরে?
সিঙ্গাপুরে গেলেই ১৫ দিনের নিভৃতবাস, কিন্তু পুজোটা নিভৃতবাসে কাটাতে চাই না। তা ছাড়া মুম্বাইয়ে আমার একটা শ্যুটিং ঠিক হয়ে আছে। সেটাও একটু বদলানোর চেষ্টা করছি, যাতে পুজোর ক’টা দিন একটু আমার মতো করে, নিজের মতো করে, আমাদের বাঙালিয়ানার বিশেষ ঢঙে কাটাতে পারি। চেষ্টা করব পুজোর সময়টায় কলকাতায় থাকতে। আপ্রাণ চেষ্টা করব, কিন্তু এখনও ঠিক বলে উঠতে পারছি না। কবে কী করব— এটা নিয়ে এখনও ভেবে উঠতে পারছি না। তবে যদি কলকাতায় থাকি তা হলে এখানে ছোট করে হলেও যতটা আনন্দ করতে পারি নিশ্চয়ই করব।
পুজোয় উপহারের লম্বা তালিকা
উপহারের তালিকা আমার কাছে থাকেই এবং উপহারও পৌঁছেই যায়— আমি থাকি বা না থাকি। চেষ্টা করছি আমাদের মতো করে উপহারগুলি সাজানোর। তবে এবার আমি অনেক বেশি এথনিক স্টাইল, এবং একটু অন্য রকম, অভিনব, সাবেকি সাজের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি। দেখা যাক। পুজোর সময় সকলেই উপহার প্রত্যাশা করে, আমিও করি।
ছিপছিপে চেহারার রহস্য
ডায়েট তো আমি কোনও দিনই করি না। আই অ্যাম আ ফুডি। খেতে প্রচন্ড ভালবাসি। কোনও দিনই খুব একটা জিমেও যাই না। তবে হ্যাঁ, আমি চেষ্টা করি পরিমাণ মতো খেতে, এবং একটু হলেও শরীরচর্চা করতে। এইটুকুই। খুব বেশি শরীরচর্চা করতে পারি না, আমি ওই ব্যাপারে যথেষ্ট অলস।
পুজোর প্রেম
আমাদের ছোটবেলায় পুজোর প্রেম বলতে ছিল প্যান্ডেলের প্রেম। মানে প্যান্ডেল বাঁধা থেকে শুরু হত তার পরে দশমীর কাটলে শেষ হয়ে যেত। তার পরে যে যার জীবনে ব্যস্ত হয়ে যেত। প্যান্ডেল প্রেমের অভিজ্ঞতা বোধ হয় সকলেরই কিছু না কিছু আছে। যদি কেউ বলেন, তাঁর এই অভিজ্ঞতা নেই, আমার মনে হয় না তিনি সত্যি কথা বলছেন।