মিমির লক্ষ্মী আরাধনা
বাড়ির পুজোয় তিনিই ‘পুরোহিত’। তা সে জন্মাষ্টমীই হোক বা সরস্বতী পুজো। বাদ নেই লক্ষ্মী পুজোও। প্রতি বছরের মতো এ বারও বুধবার সন্ধ্যায় পঞ্চপ্রদীপের শিখায় দেবীর আরতি সারলেন। মন্ত্র পড়ে পুষ্পাঞ্জলি দিলেন। শেষে দেবীকে খিচুড়ি ভোগ নিবেদন করলেন মিমি চক্রবর্তী। ইনস্টাগ্রামে জ্বলজ্বল করছে তাঁর বাড়ির লক্ষ্মী পুজোর ছবি। প্রিয় অভিনেত্রীর পুজোর কিছু মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে খুশি অনুরাগীরাও।
মিমির মতোই সুন্দর তাঁর দেবী প্রতিমা। সাংসদের হাতে সেজে সেই প্রতিমা অপরূপা। মিমি তাঁকে নতুন ঘাঘরা, ওড়না পরিয়েছেন। সোনার হার দেবীর গলায়। ফুলের মালায়, ধূপধুনোর গন্ধে মাতোয়ারা ঠাকুরঘর। এমন পরিবেশে বসেই দেবী আরাধনা সেরেছেন অভিনেত্রী।
মিমিকে পুজোয় সাহায্য করেছেন তাঁর মা। খিচুড়ি, তরকারি, ভাজা, চাটনির পাশাপাশি ভোগ হিসেবে দেবীকে নিবেদন করা হয়েছে নানা ধরনের মিষ্টি, ফল, নাড়ু, মুড়কি।
মিমিকে পুজোয় সাহায্য করেছেন তাঁর মা।
দিনভর উপোস। সন্ধেয় পুজোয় বসার আগে অভিনেত্রী সেজেছেন বেগুনি রঙা দক্ষিণী সিল্ক শাড়িতে। সঙ্গে মানানসই লাল ব্লাউজ। গলায় চওড়া হার। কানে কাঁধছোঁয়া কানবালা, হাতে চওড়া বালা। হাতখোঁপায় জড়ানো একঢাল চুল। মিমি যেন সহজসুন্দরী। সারা দিনের ক্লান্তি তাঁকে একটুও স্পর্শ করতে পারেনি।
মিমির অনুরাগীরা জানেন, তিনি প্রচণ্ড ঈশ্বরবিশ্বাসী।
মিমির অনুরাগীরা জানেন, তিনি প্রচণ্ড ঈশ্বরবিশ্বাসী। বাঙালির ১২ মাসের প্রায় সবক’টি পার্বণই তাঁকে নিষ্ঠা ভরে পালন করতে দেখা যায়। কখনও শিবরাত্রিতে মন্দিরে শিবলিঙ্গে জল ঢালেন। আবার দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন ধুনুচি নাচে। একই ভাবে বাড়ির পুজো এলেই সাংসদ, তারকার খোলস ছেড়ে আম বাঙালিনী মিমি। বাকিদের মতোই পঞ্চপ্রদীপের শিখা সবার মাথায় ছুঁইয়ে মঙ্গলকামনা করেন। এক মনে পড়তে থাকেন লক্ষ্মীর পাঁচালি।