পালা-পার্বণের দিনে বাড়ির পুরুষেরা উপোস করে পুজোর বাসন মাজেন। ভোগ রাঁধেন। ফলও কাটেন। আর বাইরের কাজ সামলান মেয়েরা। প্রতিমা, পুজোর বাজার, কেনাকাটা তাঁদের জিম্মায়! মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুজোর রাতে আনন্দবাজার অনলাইনকে বাড়ির এমন উলটপুরাণের গল্প শোনালেন প্রযোজক-অভিনেত্রী এনা সাহা।
ছাদের এক পাশে কাচের ঘর। সেখানেই মঙ্গলবার দিনভর লক্ষ্মী আরাধনা। ফল, রকমারি মিষ্টি, লুচি, সুজিতে ভোগ। আর শাড়ি, গয়নায় সেজে ওঠা এনা নিজেই যেন সাক্ষাৎ লক্ষ্মীপ্রতিমা!
‘চিনে বাদাম’ ছবির প্রযোজক অভিনেত্রীর কথায়, “ছোট থেকে দেখে আসছি বাড়ির ছেলেরা পুজোয় রান্নাঘরে। মেয়েরা বাজাপহাটে বাইরে। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি।”
এ বাড়ি ভারী লক্ষ্মীমন্ত! শুদ্ধাচারে যত্ন করে প্রতিটি ভোগ রেঁধেছেন এনার বাবা। নিজে হাতে ধুয়ে পরিষ্কার করেছেন ঠাকুরের বাসন। পুজোর জোগাড় করেছেন।
অন্য দিকে, এনার মা বনানী সাহার কড়া নজর পুজোর বাজারের দিকে। ফর্দের কোনও জিনিস যাতে বাদ না যায়, খেয়াল রেখেছেন তিনি।
লক্ষ্মী প্রতিমা কিনে এনেছেন এনার বোন। এ বছর আর বোনের সঙ্গে প্রতিমা কিনতে বেরোনো হয়নি অভিনেত্রীর।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও সারা দিন উপোস করে ছিলেন এনা। একা হাতেই সারা বাড়িতে আলপনা দিয়েছেন।
সপরিবার উৎসব উদযাপন সেরেছেন। অনুরাগীদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির সর্বকনিষ্ঠ প্রযোজক। ধনদেবীর কাছে তাঁর আন্তরিক কামনা— সুখ সমৃদ্ধি যেন অটুট থাকে সকলের। অতিমারি বিপদ কেটে যেন সম্পদ আসে সবার ঘরেই।