প্রখ্যাত ইউটিউবার উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর চ্যানেল ‘বাঁকুড়া মিমস’। তাঁর অভিনীত ‘যদু বাবুর টিউশন’ সিরিজ অচিরেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তিনি তো বটেই।
উন্মেষের বেড়ে ওঠা বাঁকুড়াতে। এখন কর্ম সূত্রে কলকাতায়। কেমন কাটবে তাঁর এ বছরের পুজো? কবে আসছে তাঁর পুজোর ভিডিয়ো? জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে। আর সঙ্গে করলেন একটি আবদারও। কী সেটা?
সারা বছর কলকাতাতে থাকলেও পুজোর সময় বাঁকুড়াতে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। কলকাতার ভিড় একদম না-পসন্দ তাঁর। কলকাতার পুজোর সময় তিনি ছিলেন একবারই, তা’ও ষষ্ঠী অবধি। পুজোর ভিড় এবং জ্যামে নাজেহাল হয়ে আর কোনও দিন পুজোয় কলকাতায় থাকার ইচ্ছা হয়নি। পরে অবশ্য একবার পুজোর সময় এসেছিলেন, তবে তা পুজোর পাঁচ দিন নয়, একাদশীতে। কিন্তু তাঁর পিছনে আছে অন্য এক কাহিনি।
তাঁর কাছে কলকাতার পুজো মানে ভিড়ভাট্টা, চিৎকার-চেঁচামেচি এবং অনেক মানুষ। আর বাঁকুড়ার পুজো মানেই শান্তি। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, এই তাঁর পুজোর পরিকল্পনা। অষ্টমীতে বাড়ির সবাই মিলে এক সঙ্গে গীতা পাঠ করেন তাঁর বাড়িতে। ওই দিন বাড়ি থেকে বেরোনো মানা।
কথায় কথায় জানালেন, ছোটবেলার পুজোকে খুব মিস করেন তিনি। নতুন জামাকাপড় পরে সারাদিন খেলে বেড়ানো এবং বাঁকুড়ার শহরের নানা পুজো ঘুরে দেখার দিনগুলি তাঁর মনের খুব কাছাকাছি। পুজোর শেষে বাবা এবং দাদার সঙ্গে বাইকে করে বিজয়া করতে যাওয়াটাতেও বেশ আনন্দের ছিল তাঁর কাছে।
পুজো মানেই পুজোর প্রেম। বাদ যাননি উন্মেষেও। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রেমে পড়েন দু’বছরের ছোট একটি মেয়ের। ব্যস, আর কি পুজোর সময় সেজেগুজে হাজির তাঁর পাড়াতেই। সকাল থেকে সন্ধে কেবল অপেক্ষা একটি বার দেখা পাওয়ার আশায়!
তবে প্রথম পুজোয় প্রেমিকাকে নিয়ে ঘোরা বলতে স্নাতকোত্তরের পরে। আগেই বলেছি, একাদশীতে একবার কলকাতার পুজো কাটিয়েছেন উন্মেষ। আসলে সেদিন প্রেমিকার সঙ্গে ঘুরতেই এসেছিলেন উন্মেষ।
তবে উন্মেষের দুঃখ, এবারের পুজো তাঁর কাটবে প্রেমিকাবিহীন। তাঁর কথায়, ‘‘এই বছর আমি একা। যদি এই খবরটা আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয় তা হলে আমার খুব ভাল হয়।’’
আগের পুজোর থেকে এখনকার পুজোর মধ্যে কী পার্থক্য? জিজ্ঞেস করলে উন্মেষের উত্তর, ‘‘আগে পুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যেতাম কিন্তু কেউ চিনত না। এখন পুজোয় বেরোলে অনেকেই চিনতে পারেন, কথা বলতে চান।’’
বাঁকুড়া মিমসের দর্শকদের জন্যও সুখবর দিলেন উন্মেষ। পুজোর আগেই আসছে ‘যদু বাবুর টিউশনের’ নতুন ভিডিয়ো। শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানান, ‘‘এই গল্পের মূল বিষয় হলো পেঁড়া। তবে সেটা কী ভাবে তার জন্য দেখতে হবে ভিডিয়ো।’’
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।