অভিনেতা রুবেল দাস
ছোটবেলা থেকেই নাচের মঞ্চে নজরকাড়া। পরবর্তীতে ছোট পর্দায় অভিনয় ক্ষমতা, সুদর্শন চেহারা এবং নাচের প্রতিভার জোরে জায়গা করে নিয়েছেন আপামর বাঙালির মনে। ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার ছাড়িয়েছে সাতাশি হাজারের গণ্ডি। কিছু দিন আগেই শেষ হয়েছে তাঁর ‘যমুনা ঢাকি’। নতুন কোনও ধারাবাহিকের কাজ শুরু হয়নি। তার মধ্যেই পুজোর গন্ধ! কী প্ল্যান? ঠাকুর দেখা থেকে পুজোর প্রেম, সব নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনে অকপট অভিনেতা রুবেল দাস।
রুবেলের কাছে পুজো মানে নিজের পাড়ায় হইচই। সারা বছর যা-ই হোক, পুজোর ক’দিন বাঙালিয়ানাই বেশি পছন্দের। পোশাক থেকে খাবার দাবার, সবই হতে হবে নিখাদ বাঙালি। পঞ্চমী থেকে দশমী কাটে পাড়ার পুজোতেই। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, মজা করে ভোগ খাওয়া তো আছেই। অষ্টমী বা নবমী যে কোনও এক দিন বেরোবেন ঠাকুর দেখতে। সে ভিআইপি পাসেই হোক বা লাইনে দাঁড়িয়ে হোক, মণ্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখা মাস্ট রুবেলের। পুজোর দিনগুলোয় ভোগ খেতেই বেশি পছন্দ করেন অভিনেতা। তবে অষ্টমীর মেনুতে কিন্তু লুচি-মাংস প্রায় বাঁধা।
বাঙালির দুর্গাপুজো আর ধুনুচি নাচ হবে না? রুবেল তাতেও আছেন। ধুনুচি নাচ যেমন দেখতে ভালবাসেন, তেমনই কিন্তু পারেন দু’হাতে ধুনুচি নিয়ে নাচতেও। শুধু তা-ই নয়, ঢাক বাজানোও তার অভ্যেস আছে রীতিমতো!
ছোটবেলার পুজোর কথা উঠতেই একটু নস্ট্যালজিক অভিনেতা। সে সময়ে পুজোয় পঞ্চমী থেকে দশমী প্রায় রোজই থাকত নাচের অনুষ্ঠান। আত্মীয়দের দেওয়া নতুন জামাকাপড় পরে সাইকেলে চেপে পাশের পাড়ায় অনুষ্ঠানে যাওয়ার সেই দিনগুলো আজও খুব রঙিন রুবেলের কাছে।
লজ্জায় ফেলল অবশ্য পুজোর প্রেমের গল্প। ইদানীং বহু বাঙালি মেয়ের হার্টথ্রব রুবেলের কাছে পুজোর প্রেম মানে ম্যাডক্স স্কোয়ার! সেই সূত্রেই শোনালেন এক মজার ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রুবেলের পরিচয় হয়েছিল এক জনের সঙ্গে। কথা হয় প্রায় ২-৩ মাস। কিন্তু দেখা হওয়ার সুযোগ হয়নি কোনও দিন। শেষমেশ ঠিক হয়, শুভ বিজয়ার শুভ লগ্নে হবে প্রথম দেখা। আর তাতেই সর্বনাশ! শুভ বিজয়া বলতে গিয়ে রুবেল নাকি বলে বসেন “শুভ নববর্ষ!” তার পর অবশ্য আর বেশি দিন টেকেনি সেই সম্পর্ক।
মা দুর্গার কাছে কী হবে তাঁর তিনটি বরের প্রার্থনা? রুবেল হাসতে হাসতে জানান, গ্ল্যামার যেন সারা জীবন বজায় থাকে, যখন তখন চাইলে যেন মেলে মাটন বিরিয়ানি এবং পরিবারের সবাই যেন সুস্থ ও ভাল থাকে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।