স্মৃতিচারণায় সন্দীপ্তা
টলিউডের পরিচিত নাম। সদাব্যস্ত অভিনেত্রীর নাগাল পাওয়াই দায়! যাঁর আবেদনে ঘায়েল অজস্র অনুরাগী, পুজোর গল্পে তাঁকেই পাওয়া গেল একেবারে অন্য মেজাজে। খোশমেজাজে সন্দীপ্তা সেন। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে ভাগ করে নিলেন নিজের ছোটবেলার পুজোর হরেক স্মৃতি ও ঘটনা। ছোট থেকেই তাঁর ভাল লাগে মেলায় যেতে। পুজোর সময়ে দেশপ্রিয় পার্কের মতো পুজোয় ঠাকুর দেখার পাশাপাশি তাঁর নেশা ছিল নাগরদোলা আর নানা রকমের রাইডে চড়া। এখন কাজের চাপ ও খ্যাতির বিড়ম্বনায় তা আর হয়ে ওঠে না। ‘দুর্গা’ ধারাবাহিকে অভিনয় শুরুর পর থেকেই এই বদলের শুরু।
ছোটবেলাটা কিন্তু একেবারে অন্য রকম ছিল। পাড়ার পুজোয় চুটিয়ে মজা করতেন সন্দীপ্তা। কৈশোরে পা দেওয়ার পরে বন্ধুদের সঙ্গে ম্যাডক্স স্কোয়্যারে গিয়ে আড্ডা, ফুচকা খাওয়া হয়ে গিয়েছিল উৎসবের রোজনামচা। এখনকার পুজো তা হলে কেমন? শারদীয়ার দিনগুলো এখন সন্দীপ্তার কেটে যায় নানা রকম পরিকল্পনায়। ভিন রাজ্য ও বিদেশে থাকা বন্ধুবান্ধবেরা এই সময়ে শহরে ফেরেন। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো কিংবা নিরিবিলিতে আড্ডাই এখন অভিনেত্রীর পুজোর আসল আকর্ষণ। প্রতি বছর এই সময়টায় কাজের ব্যস্ততা থেকে কিছু দিনের ফুরসত। তাকেই কাজে লাগিয়ে সন্দীপ্তা মাঝে মাঝেই চলে যান বিদেশে। কখনও একা, কখনও বন্ধুবান্ধবদের নিয়েই পাড়ি জমান অচেনা অজানা গন্তব্যে।
বন্ধুদের মাঝে কাটানো সেই নির্ভেজাল সময়ে সন্দীপ্তা যেন মনে মনেই ফিরে যেতে চান ছোটবেলার চিন্তামুক্ত আনন্দের পুজোয়। বেড়াতে যাওয়ার হাত ধরে ফিরে পেতে চান সেই সারল্য মাখা উৎসব। পর্দায় সকলের মন কেড়ে নেওয়া অভিনেত্রীর কি কৈশোরে মনে ধরেছিল বিশেষ কাউকে? সন্দীপ্তার অকপট জবাব, “প্রেমের দিকে আমি যেতাম না কোনও দিনই। বরং সারা ক্ষণ অন্যদের প্রেমে সাহায্য করেই সময় কেটে যেত। আমার যদি কাউকে ভাল লাগত, আর তারও যদি আমায় ভালো লেগে যেত, তখন জমত না আর! বরং আমার যাকে পছন্দ, সে আমার দিকে না তাকালে আমার আকর্ষণ বেড়ে যেত তার প্রতি!” পুজোয় মা দুর্গার কাছে চেয়ে নেওয়া তিনটি বর তাহলে কী কী হবে? প্রথমেই জোর দিয়ে সন্দীপ্তা বললেন, “চাইব যেন বিনা পয়সায় পৃথিবী ঘুরতে পারি! আর চেয়ে নেব পৃথিবীতে সবার আর আমার নিজের পরিবারে যেন শান্তি আর মঙ্গলময় পরিবেশ বিরাজ করে। আর সবশেষে অবশ্যই আরও অনেক কাজ করতে চাই, নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিতে চাই।’’
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।