দশমীতে শোভন-স্বস্তিকা উড়ে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে।
সকাল পৌনে দশটা। স্বস্তিকা দত্ত সেজেগুজে তৈরি! ফোনে ধরতেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন নবমীর শুভেচ্ছা। ফোনের ওপারে দিব্যি স্পষ্ট ‘প্রিয় জন’ শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের গলা। অতিমারির মধ্যে শোভনের সঙ্গে কেমন কাটল পুজো? ‘‘সপ্তমী পর্যন্ত কাজে ডুবেই কেটে গেল। সন্ধেবেলা বুঝলাম পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের হাতে পড়ে অষ্টমী আর নবমী!’’ হাসতে হাসতেই জবাব ছোট পর্দার ‘রাধিকা’র। দশমীতে যুগলে উড়ে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। নিরালায় নিজেদের মতো করে ছোট্ট ছুটির খোঁজে।
ফেসবুক বলছে, সপ্তমীর সন্ধে থেকে এখনও পর্যন্ত শোভন-স্বস্তিকার উদযাপন মন্দ নয়। সে কথা মানছেন কন্যে। নিজেই জানালেন, সপ্তমীতে জুটিতেই গিয়েছিলেন এক বন্ধুর বাড়ির পুজোয়। বন্ধুরা মিলে জমে গিয়েছিল আড্ডা। নিজেই পুজো করেন স্বস্তিকার বন্ধু। সেই ছবি তিনি দিয়েছেন তাঁর ফেসবুকে।
ফেসবুক বলছে, সপ্তমীর সন্ধে থেকে এখনও পর্যন্ত শোভন-স্বস্তিকার উদযাপন মন্দ নয়।
সপ্তমীতে হলদে-সবুজাভ ক্রেপ শিফনে ঝলমলে স্বস্তিকা। সাদা চোস্ত-ঘন নীল পাঞ্জাবিতে পাক্কা ‘বাঙালি বাবু’ শোভনও! সঙ্গে ছিলেন পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়। অষ্টমীতে যুগলে গিয়েছিলেন রূপটান শিল্পী অভিজিৎ চন্দের বাড়িতে। পুজো হয় সেখানেও। সঙ্গে ছিলেন মডেল-অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। স্বস্তিকা তখন পশ্চিমি পোশাকে অনায়াস! সাদা টপ, জিনসের সঙ্গে চুলে উঁচু করে খোঁপা। পাশ্চাত্য পোশাকেই ঝুঁকেছিলেন শোভনও। আক্ষেপ একটাই। ‘‘সকালে জরুরি কাজে বেরোতে হয়েছিল। তাই অষ্টমির অঞ্জলিটাই দেওয়া হল না!’’ বললেন স্বস্তিকা।
আর নবমী? ‘কী করে বলব তোমায়’ ধারাবাহিকের কার্যনির্বাহী প্রযোজকের বাড়ির পুজোয় গিয়েছিলেন দু’জনে। লাল পাড়, সাদা শাড়িতে স্বস্তিকা যেন খাঁটি বঙ্গতনয়া। হাতখোঁপায় গোঁজা লাল ফুল। বিকেলে বেরনোর কোনও পরিকল্পনাই ছিল না অবশ্য। কেন? শোভন-স্বস্তিকার কথায়, ‘‘দশমী মানেই পুজো শেষ। আমরাও শহর ছাড়ছি। পাঁচটি দিন আমাদের মতো করে কাটাব দার্জিলিংয়ের কাছে ছোট্ট গ্রাম সিডিতে। কিচ্ছু গোছগাছ হয়নি যদিও!