মুম্বইয়েও দুর্গাপুজোর হইচই নেহাত কম নয়। তার উপরে যদি সেই পুজোয় থাকেন বলিউডের তারকারা, তবে তো কথাই নেই। কলকাতার পুজোর জৌলুস যতই থাকুক, মুম্বইয়ের নক্ষত্রদের উপস্থিতিতে হওয়া পুজোর ঔজ্জ্বল্য অন্য রকম। সেখানকার সবচেয়ে চর্চিত পুজোর একটি হল গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের পুজো। বছর বছর নিজে হাতে ঢাক বাজাতে দেখা যায় তাঁকে। ভিড়ও হয় তেমন!
এ বছর কেমন কাটছে অভিজিতের পুজো? অতিমারির জেরে কি বাদ দিতে হল অনেক রীতি-রেওয়াজ?
মুম্বই থেকে ফোনে অভিজিৎ জানালেন, দুর্গাপুজো ভালই কাটছে। প্রতি বারের চেয়ে কিছু কম হয়নি আনন্দ। কোভিড-বিধি মেনে দিব্যি চলছে পুজোর হইচই। অভিজিৎ বলেন, ‘‘গত বার লক ডাউনেও ভাল হয়েছে পুজো। এ বার ছোট করে করছি। কিন্তু করছি সবই। ভোগ-অঞ্জলি-আড্ডা— কিছু বাদ যায়নি।’’
কে কে এলেন তাঁর বাড়ির পুজোয়?
অভিজিৎ এ বার যেন অবাক! বিস্ময় নিয়ে বললেন, ‘‘আসবে আবার কে? অতিমারির সময়ে সমাগম তো প্রায় বন্ধ।’’ এ বারও বিশেষ কাউকে পুজোয় আসতে বলেননি। কিন্তু আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেননি। বললেন, ‘‘আমরা খুব যত্ন নিয়ে পুজো করি। এ বছরও আগের বারের মতো শুধু সদস্যরা মিলে ছোট করে করছি। তবে খুব আনন্দ হচ্ছে।’’
অভিজিতের মত, পুজোর মূল আকর্ষণ হল খাওয়াদাওয়া। মুম্বইয়ের বাঙালিরাও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন মিষ্টিকেই। সেই কারণেই কলকাতার এক নামী মিষ্টি বিপণি থেকে যায় নানা ধরনের সন্দেশ। জানালেন অভিজিৎ।
কিন্তু পুজোর মধ্যে কী ভাবে সেই মিষ্টি প্রতিদিন মুম্বই পৌঁছয়? অভিজিতের জবাব, ‘‘রোজ বিমানে আসে মিষ্টি।’’ তবে শুধু মিষ্টি নয়, তার সঙ্গেই অষ্টমীর বিশেষ ভোগও থাকে। খিচুড়ি, বেগুনি, চাটনি, পায়েস— সবই কলকাতা থেকে মুম্বই যায়।
আগে এই পুজোয় আড্ডা-গান-তারকা সমাগম হত। গত দু’বছর ধরে অতিমারিতে সবই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে তার মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে উৎসব উদ্যাপন। অভিজিৎ জানান, ‘‘আমরা এখানে ন’দিন ধরে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করি। নৈশভোজে মাছ-মাংসও থাকে।’’
আর দশমীতেই কি বিসর্জন? অভিজিতের গলায় এ বার মন খারাপের সুর। বলেন, ‘‘আমরা এমনিতে দশমীর পরেই বিসর্জন দিতাম। কিন্তু এখন কোভিড-বিধি মেনে চলতে হচ্ছে। তাই দশমীতেই বিসর্জন হবে।’’
মুম্বইয়ের হইচইয়ের মাঝেও কলকাতার পুজোর কথা ভোলেননি বাঙালি তারকা। এ শহরের পুজো নিয়েও ভাবনা আছে অভিজিতের। কোথায় কেমন পুজো হচ্ছে, কথার ফাঁকে তাও জেনে নিলেন তিনি।