বহু বছর পরে আবার ‘মা দুর্গা’ কোয়েল মল্লিক।
মাথায় সোনার মুকুট। কোমরে চওড়া কোমরবন্ধ। সোনার গয়নায় মোড়া শরীর। হাতে ত্রিশূল, খোলা চুল, বেনারসি শাড়িতে বহু বছর পরে আবার ‘মা দুর্গা’ কোয়েল মল্লিক। কার্লাস বাংলা চ্যানেলে। এই খবর প্রথম জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। এই প্রথম কোয়েল ভাগ করে নিলেন মানবী থেকে দেবী হয়ে ওঠার সমস্ত অনুভূতি। ফোনে একান্ত আলাপচারিতায় নিজেই ব্যাখ্যা করলেন, মা দুর্গা সেজে ওঠা কী ভাবে এক অবর্ণনীয় অনুভূতিতে ঘিরে রাখে তাঁকে। সেই আবেশেই তিনি নিজের মতো করে ক্যামেরার সামনে ফুটিয়ে তোলেন দেবীকে। আর তখনই উপলব্ধি হয়, কোথাও যেন দেবী আর মানবী একাকার। সব নারীর মধ্যেই তাই দেবীর ছায়া লুকিয়ে!
এই অনুভূতি কিন্তু কোয়েলের একার নয়। ‘বনি’র নায়িকার দাবি, ‘‘আমার এই ভাবনার সঙ্গী কালার্স বাংলা চ্যানেলও। তাই ওদের মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান ‘নব রূপে মহাদুর্গা’। যেখানে দেবীর নানা রূপের পাশাপাশি বত্সরান্তে উমা মর্ত্যে আসবেন সাধারণ মেয়ে হয়ে।’’ প্রতি বার ছোট পর্দায় ‘মা দুর্গা’ হয়ে ওঠার সময়ে কোয়েলের একটাই প্রার্থনা থাকে। দেবীর আগমনে যেন সব কালো সরে শুধুই ভালয় ভরে ওঠে পৃথিবী।
তবে এ বার কোয়েলের বরাতে বাড়তি পাওনা। ছেলে কবীর এই প্রথম তাঁকে দেবীর সাজে দেখতে চলেছে। যদিও অভিনেত্রীর দাবি, এখনও ছোট পর্দার সামনে ঘেঁষতে দেন না একরত্তিকে। তবে বাড়িতে তাঁর সাজ, আলোচনা, উত্তেজনা, ব্যস্ততা দেখে কবীর বেশ অনুমান করতে পারছে, তার মা বিশেষ কিছু একটা করতে চলেছে!
দীর্ঘদিন পরে মহালয়ার ভোরে একমাত্র মেয়ে দেবীর সাজে পর্দায়। খুশির আমেজ মল্লিক বাড়িতেও। কোয়েলের কথায়, ‘‘মা-বাবাও খুশি। ওঁরা আমার অনুষ্ঠান দেখবেন বলে সাগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন।’’ পাশাপাশি করোনা বিধি মেনে এ বছরও প্রতি বারের মতোই পুজো হবে ভবানীপুরের মল্লিক বাড়িতে। তবে সংক্রমণ এড়াতে বাইরের লোকের প্রবেশ নিষেধ এ বছরও। বাড়ির সদস্যদের নিয়েই দেবী আরাধনা হবে, জানাতে ভোলেননি কোয়েল।