এ বছর পুজোয় এক দিন ‘রাস্তার ফুচকা’ আমিই বানাব। বানাবই!
আলোয় আলো শহর, হইহই করে ঘোরাঘুরি, দেদার খাওয়াদাওয়া, জমিয়ে সাজ আর রাস্তায় গাদা গাদা লোক। এটাই আমার পুজো। এটাই আমার কলকাতা। তবে দু’বছর হল সবটাই পাল্টে গিয়েছে। কারণ দুটো। একটা অবশ্যই করোনা। আর অন্যটা আমার জীবনে সবচেয়ে অন্য রকম, সবচেয়ে আনন্দের একটা অধ্যায়। মা হওয়া।
আগের বছর এ সময়টায় অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম। একে এমনিই কড়াকড়ি, তাতে অতিমারির ভয়ে কাঁটা। প্রায় পুরো পুজোটাই বাড়িতে। এক দিনই শুধু বন্ধ গাড়িতে পুজোর আলো দেখতে বেরনো। বাকিটা বাড়িতে বসেই ঢাকের বাদ্যি শোনা। ওই দুধের স্বাদ ঘোলে আর কী!
এবার এক জন ছোট্ট মানুষ আছেন। তার কুট্টি কুট্টি নতুন জামাকাপড়। ছেলেকে সাজাব! ভেবেই মজা লাগছে!
এ বছরটাও হয়তো তা-ই হবে। তবু এবার এক জন ছোট্ট মানুষ আছেন। তার কুট্টি কুট্টি নতুন জামাকাপড়। ছেলেকে সে সব পরাব, সাজাব! ভেবেই মজা লাগছে!
তবে হ্যাঁ, একটা জিনিসের অভাব মনে হবেই হবে! আমি বরাবরই ফুটপাথের খাবারের জন্য পাগল। দেদার খেতামও। ফুচকা, রোল, চাউমিন, চপ-কাটলেট কিচ্ছু বাদ যেত না! এই কোভিডের জন্য সব মাটি!
দু’বছর হল আমার পুজোর সবটাই পাল্টে গিয়েছে। একটা কারণ অবশ্যই আমার জীবনে সবচেয়ে অন্য রকম, সবচেয়ে আনন্দের একটা অধ্যায়। মা হওয়া।
ও হ্যাঁ, ফুচকা নিয়ে একটা দারুণ গল্পও আছে কিন্তু। তখন বছর পনেরো-ষোলো বয়স। পাড়ার পুজোয় ফুচকা খাওয়ার প্রতিযোগিতা হত। স্রেফ এক বন্ধুকে হারাব বলে তিরানব্বইটা ফুচকা খেয়ে ফেলেছিলাম! বাড়ির লোক জানতে পেরে হায় হায় করছে। এ দিকে, আমার কিন্তু কিচ্ছু হয়নি! দিব্যি হজম করে ফেলেছিলাম!
গত বছর আমার বর পাড়ার ফুচকাওয়ালার থেকে মশলাপাতির খুঁটিনাটি জেনে এসেছিল। বাড়িতেই ‘রাস্তার ফুচকা’ বানিয়ে খাইয়েওছিল! এ বছরও পুজোয় এক দিন আমিই বানাব। বানাবই!