Durga Puja 2020

এ বার না হয় একটু অন্য রকম পুজো হোক

নিউ নর্মাল পুজো কতটা প্যান্ডেল হপিংয়ের সুযোগ দেবে জানি না। তবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বন্ধ যাবে না।

Advertisement

নীল ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:২৬
Share:

ভাবলেই দিল খুশ। আহা, সারা বছরই কেন ঘুরেফিরে পুজো আসে না!

সবাই বলছে, বাঙালির সেরা উৎসবের আবহ নাকি বদলে যাচ্ছে? করোনার সৌজন্যে? আমি বলছি, নিউ নর্মালে নতুন রূপে ফিরবে পুজো। আগে যেমন পুজো হত মন থেকে, এ বারেও যেন তার হেরফের না হয়। হোক না এ বছর একটু অন্য রকম পুজো!

Advertisement

সব হবে...

ভাবছেন, কী সব বলছি? রাস্তায় হাতে গোনা যান চলছে। মানুষের সংখ্যাও নগণ্য। ফলে, পসরা সাজিয়ে দোকানি বসলেও ক্রেতা প্রায় নেই-ই। আমি বলি কি, এ বছরেও শপিং হোক। তবে প্রাণ বাঁচাতে অনলাইনে না হয় শপিং সারলেন। দেওয়া থোওয়াও তাই।

Advertisement

শপিং বলতে মনে পড়ল, অনেকেরই দরদাম না করে কেনাকাটা পছন্দসই হয় না। আমার মতে, একটা বছর লাকি কুপনে বার্গেনিং বাঁধা থাক! এ ভাবেই আমিও শপিং করব। নিজের জন্য। পরিবার, আত্মীয়স্বজনের জন্য। কী কিনব কিছুই ঠিক করিনি। হাতে এখনও সময় আছে। স্টুডিয়োয় আমাদের ইউনিটে উপহার নিয়ে একটা মজার ব্যাপার চালু আছে। এখানে গিফট হিসেবে কোনও জিনিস দেওয়া-নেওয়া হয় না। পেট পুরে খাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: পুজোর একটা শাড়ি পরে ফটো শুট করে ফেলেছি

বিসর্জনের নাচ কখনও মিস করি না।

বিহার থেকে কলকাতায়

অনেকেই পুজোয় কলকাতা ছেড়ে বাইরে চলে যান। আমি সেই ছোট্টবেলায় যেতাম দেশের বাড়িতে। বিহারের সীমানায় আমাদের দেশের বাড়ি। তা বলে আমাদের ‘বিহারিবাবু’ ভাববেন না যেন! আমরা বিশুদ্ধ বাঙালি। বড় হওয়ার পরে আর কলকাতা ছেড়ে কোথাও যাইনি। সাউথ পয়েন্টে পড়া ছেলে। স্কুলের উল্টো দিকে দুর্গাবাড়ি। সেখানে দশমীর দিন গেলেই আমায় দেখতে পাবেন। বিসর্জনের নাচ কখনও মিস করি না। পুজোয় আর কিছু করি না করি এটা আজও বাদ পড়েনি। অবশ্য জানি না, এ বছর কী হবে।

আরও পড়ুন: অষ্টমীর সকালে আড় চোখাচোখি এবং ডেটিং: শন

আড্ডা, ঘুম আর লুচি-মাংস

নিউ নর্মাল পুজো কতটা প্যান্ডেল হপিংয়ের সুযোগ দেবে জানি না। তবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বন্ধ যাবে না। হয় বাড়িতে নয় ভিডিও কলে চলবে দফায় দফায়। এ বছর মা-বাবাকে অনেকটা সময় দিতে পারব। বাড়িতে থাকব মানেই প্রচুর খাব। লুচি, মাংস থেকে ভোগ হয়ে চাইনিজ, মোগলাই— কিচ্ছু বাদ দেব না। আমি সপ্তাহে একটি দিন চিটিং ডায়েট করি। মানে, সারা সপ্তাহ কড়া ডায়েট। একদিন পছন্দসই খাওয়া। পুজোর চারটে দিনই চিটিং ডায়েট বজায় থাকে। সঙ্গে জমিয়ে ঘুম।

উফফ! ভাবতেই দিল খুশ। আহা, সারা বছরই কেন ঘুরেফিরে পুজো আসে না!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement