Durga Puja 2019

পুজোয় আর ডাকাতি নয়, বরং শান্তিনিকেতনে দেখা পেতে পারেন ‘দেবী চৌধুরানী’-র

কাজের ব্যস্ততার মধ্যে এই পুজো পুজো ব্যাপারটা বেশ ভাল লাগছে।

Advertisement

সোনামণি সাহা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:৫০
Share:

পঞ্চমী অবধি আমাদের শুটিং চলার কথা। ‘দেবী চৌধুরানী’র শুটিং নিয়ে তাই আমাকে পঞ্চমী অবধি অপেক্ষা করতে হবে। আমার বাড়ি তো মালদহ। ছুটির ক’দিন মালদহ চলে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দশমীর দিন প্ল্যানিং আছে বোলপুরে থাকার। বাড়ির সকলে ওখানে চলে যাব। তারপর তো আবার শুটিংয়ে ফিরতে হবে।

Advertisement

আসলে এ বার আমার খুব ইচ্ছে হয়েছে শান্তিনিকেতনের পুজো দেখব।বেসিক্যালি গ্রামের পুজো এখনও আমার দেখা হয়নি। আমার বাড়ি মালদহ টাউনে। পুজোয় কখনও গ্রামের দিকে যাওয়া হয়নি। তাই সবাই মিলে শান্তিনিকেতন যাব ঠিক করে ফেললাম।

আমার বাড়ির উল্টোদিকেই বিশাল বড় করে পুজো হয়।সর্বজয়ী ক্লাবের দুর্গোৎসব।প্রত্যেক বার পুজোতে ওই প্যান্ডেলে গিয়ে বসে থাকা, সবাই মিলে মজা করা— এটা চলতেই থাকে। কিন্তু গত বছর থেকে সেটা আর হয়ে ওঠে না। গত বছর পুজো প্যান্ডেলে গিয়ে যেই বসেছি সঙ্গে সঙ্গে ভিড় জমে গেল। এত ভিড় জমে গেল যে দেখলাম আমি হাইজ্যাক হয়ে যাচ্ছি। শেষমেশ কোনও রকমে ভিড় থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। তারপর থেকে ভয়েআরপ্যান্ডেলে যাইনি। এ বছরও ওখানে পুজো হবে। কিন্তু ওই যে ভয় ঢুকে গিয়েছে, আমি আর ভয়েই পান্ডেলে যেতে পারব না।উফ! এখনও ভাবলে ভয় লাগে।

Advertisement

আরও পড়ুন: অনিন্দিতা আর আমি শহর ছাড়ব অষ্টমীতে: সৌরভ​

আমাদের যেখানে শুটিং হয়, দাসানি টু স্টুডিওতে, এখানকার পরিবেশটা খুব সুন্দর। চারপাশটা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে পুজো এসে গিয়েছে। স্টুডিওর চারদিকে কাশফুল। এখানে আকাশটাও খোলা। আকাশ দেখে শরৎকাল বোঝা যাচ্ছে। পুজো পুজো একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের তো প্রায় সারাদিন স্টুডিওতেই কাটাতে হয়। তাই কাজের ব্যস্ততার মধ্যে এই পুজো পুজো ব্যাপারটা বেশ ভাল লাগছে। কিন্তু আমার মালদহের বাড়ি থেকে এই ব্যাপারটা খুব একটা বোঝা যায় না। বাড়ির কাছাকাছি মহানন্দা নদী। একমাত্র নদীর দিকে গেলে নদীর ধারে ধারে কাশফুল দেখা যায়। নদীর জল স্বচ্ছ্ব না হলেও জলে কাশফুল আর মেঘের প্রতিবিম্বও দেখা যায়।

মালদহ টাউনে আমার বাড়ির কাছাকাছি চারদিকে পুজো হয়, বিভিন্ন রকম লাইট, স্পিকারে গান বাজছে, একটা গান আর একটা গানকে ওভারল্যাপ করে যাচ্ছে— পুরোটা মিলে বাড়িতে বসেই উৎসবউৎসব ব্যাপারটা টের পাওয়া যায়। এখন কলকাতায় থেকেও বলে দিতে পারি আমার বাড়ির আশপাশের পুজোগুলোর আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। প্যান্ডেল বাঁধা চলছে। চারপাশে বাঁশ, প্যান্ডেল বাঁধার জিনিসপত্র ডাঁই হয়ে পড়ে আছে। লোকজন কাজ করছে। আর বাজারে? সারাক্ষণ ভিড় লেগেই আছে। মানুষজন পুজোর কেনাকাটা করতে, নিজের পছন্দের পোশাক খুঁজে বের করতে দোকানে দোকানে ঘুরছে।

আরও পড়ুন: গভীর রাতে আম্মার সঙ্গে প্যান্ডেল হপিং… কী হত জানেন? জানালেন রাইমা

দু’মাস আগে থেকে আমি শপিং শুরু করেছি। ফিফটি পারসেন্টের বেশিই শপিং হয়ে গিয়েছে। তার কিছু কিছু পোশাক আমি পরেও ফেলেছি। তার পরেও কিছু আনকোরা পোশাক থেকে গিয়েছে। আরও পোশাক কেনার প্ল্যান আছে। সাজাগোজার প্ল্যান এখনও করে উঠতে পারিনি। তবে এথনিক পোশাক পরারই ইচ্ছে আছে ওই ক’টা দিন। তার মধ্যে শাড়ি তো অবশ্যই থাকবে। বাড়ির সবার জন্যও উপহার কেনা হয়ে গিয়েছে। উপহার বলতে মূলত পোশাকই কিনেছি।

পুজো শেষে বাড়ি ছেড়ে ফিরে আসতে মন কেমন করে। উৎসবের ক’টা দিন যেন হু হু করে চোখের সামনে দিয়ে চলে যায়। বাড়ির প্রিয় মানুষদের ছেড়ে পাড়ি জমাতে হবে কর্মস্থলে।বাড়ির সবারও মন খারাপ হবে। আমার সঙ্গে আবার কবে দেখা হবে ঠিক থাকবে না। উৎসব শেষেদুর্গা মা শ্বশুরবাড়ি ফিরবেন আর আমি শুটিংয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement