ছোটবেলা থেকে দুর্গাপুজো যে রকম ভাবে কাটিয়েছি বড়বেলায় দুর্গাপুজো ডেফিনিটলি অন্য রকম ভাবে কাটাই। ছোটবেলায় বাবা-মার সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে কাটত। এখন বন্ধুদের পাশাপাশি আমার কলিগদের সঙ্গে, মানে যাদের সঙ্গে কাজ করি তাদের সঙ্গে পুজোর অনেকটা সময় কাটে। এখন অনেক জায়গায় পুজো পরিক্রমায় যেতে হয়। সুতরাং অনেক ঠাকুর দেখা হয়ে যায় সুন্দর ভাবে। ছোটবেলায় সেই ঘুরে ঘুরে কষ্ট করে ঠাকুর দেখতে হত।
আর পুজোর ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালিদের কাছে একটা খুব বড় ব্যাপার পুজোর খাওয়াদাওয়া। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী কী খাব সকাল বিকেল? যে রকম আমার ক্ষেত্রে অষ্টমীর দিন ভোগ খাওয়াটা মাস্ট। আর নবমীর দিন আমাদের মাংস-ভাত খাওয়াটাও মাস্ট। এ রকম কতগুলো জিনিস আছে। তা ছাড়া পুজোর সময় কোনও ডায়েটিং নয়। সম্পূর্ণ বাইরে খাওয়া। এ সব তো চলতেই থাকে।
আরও পড়ুন: রাজের সঙ্গে আলাদা করে পুজো কাটানোর প্ল্যান নেই: শুভশ্রী
আরও পড়ুন: অনিন্দিতা আর আমি শহর ছাড়ব অষ্টমীতে: সৌরভ
আর পুজোর সাজ... এখন যে রকম দিনকাল পাল্টে গেছে তাতে আমরা সারা বছরই শপিং করি। কোনও না কোনও সেল চলছে, কোনও না কোনও অফার চলছে... সারা বছরই কেনা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু জামাকাপড় বোধহয় পুজোর সময় পরব বলে তুলে রাখা থাকে। তার মধ্যে পুজোর সময় আমি মূলত শাড়ি পরতে পছন্দ করি। কারণ, আমি বাঙালি এবং বাঙালির প্রধান পোশাক শাড়ি। সুতরাং পুজোর সময় অষ্টমীর দিন অবশ্যই শাড়ি পরে অঞ্জলি দেব। নবমীর দিনও অবশ্যই শাড়ি পরা থাকবে। আর দশমীর দিন তো সিঁদুরখেলা। সিঁদুরখেলায় শাড়ি পরতেই হবে। শাড়ি ছাড়া সিঁদুরখেলা ভাবাই যায় না। ফলে শাড়িটাই পুজোর সময় আমার প্রধান পোশাক। তা ছাড়া শাড়িতে কিছু নতুনত্ব থাকেই। এ বছর আমি ‘শ্রীময়ী’ করছি। শ্রীময়ী’ আমার সঙ্গে আছে। এ বছর দেখছি শ্রীময়ী শাড়ি একটুখানি ফ্যাশনে আছে। শ্রীময়ীর মতো করে আমিও সাজব খানিকটা শ্রীময়ীর সাজে।