Ritwick Chakraborty Films

হরর ছবি! পুজোর আগে কালিম্পঙে গিয়ে ভূতের পাল্লায় পড়লেন ঋত্বিক চক্রবর্তী!

পুজোর আগে মুক্তি পাচ্ছে হরনাথ চক্রবর্তীর নতুন ছবি ‘তারকার মৃত্যু’! যে কারণে কালিম্পঙে এক বাংলো শ্যুটিং হল। ছবিতে আছেন রঞ্জিত মল্লিক ও পার্নো মিত্র।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৫
Share:

আপনি কি ভূতে ভয় পান?

Advertisement

না, মানে ...ভূতে... একদম... মানে...

আরে অত ‘মানে মানে’ করার কী আছে? ‘মানে বই’টা হাত থেকে নামিয়ে কথা বলুন না!

Advertisement

হাহাহাহা! আসলে, ভূত তো বিশ্বাস না করলে দেখাও দেবে না। অতএব, আমার আর ভয় পাওয়া হয়নি কখনও।

ভগবানে বিশ্বাস করেন?

ভগবানে একদম বিশ্বাস করি না তা নয়, কিন্তু প্রকাশ্যে তা অল্প!

বউ করে বিশ্বাস?

অপরাজিতা ভয় পেতে বেশ পছন্দ করে! ফলে...

ওর শিহরণ হয়?

হয়। শিহরণ তো অনেকে উপভোগ করে, অপরাজিতাও সেই দলে…

ভয় পেলে কী করেন অপরাজিতা? আপনাকে জাপটে ধরেন?

হাহাহাহা! ও ভয়টাকে বেশ প্রশ্রয় দেয় আর কি! এটুকু বলতে পারি!

কালিম্পঙে ভূত দেখতে গিয়ে কী দেখলেন?

এই রে! আপনারা সাংবাদিকরা না, এত্তো প্যাঁচালো প্রশ্ন করেন! জানেন, আমি কী করতে গেছিলাম। হরনাথ চক্রবর্তীর নতুন ছবি ‘তারকার মৃত্যু’র শ্যুটিঙে।

হুম, তো উঠেছিলেন তো মর্গান হাউজ-এ! যেটা আবার ভূতুড়ে গপ্পোর জন্য বিখ্যাত!

একদম ঠিক কথা!

‘তারকার মৃত্যু’ ছবিটায় গল্পের মধ্যে কী এমন মোচড় আছে, যেটা ভূতের?

‘তারকার মৃত্যু’ গল্পটা যখন শুরু হয়, তখন যে এটা খুব ভূতের, তেমন নয়। একটু বলি। এখানে আমি একজন চিত্রনাট্যকার। আমার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পার্নো মিত্র। তো, স্ত্রীর একটা মানসিক সমস্যা আছে। অবসাদ। এই ধরনের সমস্যা হলে যা হয়, একটা অস্বীকার-প্রবণতা তৈরি হয় পরিবারের দিক থেকে! লোকে বলে, আরে ধুর, এত্তো ভাবছিস কেন? বেশি চিন্তা করে করে এসব হচ্ছে!’ ইত্যাদি ইত্যাদি। স্বামী-স্ত্রী বেড়াতে যায়। চিত্র নাট্যকার স্বামীর ওখানে গিয়ে একটা গল্প লেখার ইচ্ছে। আর মনে মনে বাসনা, এক সঙ্গে ক’টা দিন অন্যত্র কাটালে স্ত্রীর ভয়-টয় সব কেটে যাবে। উল্টে হয়ে গেল অন্য কিছু। যা প্রথমে ভৌতিক দিকে মোড় নেয়। তার পর ক্রমশনথ্রিলারের দিকে চলে যায়। এর বাইরে কিছু বলতে বলবেন না, প্লিজ।

পার্নোকে স্ত্রীর চরিত্রে দেখতে ভাল লাগে, নাকি বান্ধবী বা প্রেমিকার চরিত্রে পেতে ইচ্ছে করে!

দু’রকমই!

কোনটা বেশি ভাল লাগে?

আমি তো একটা ছবি করেছি, যেখানে আমরা ভাইবোন! সেখানেও আমার ধারণা লোকে খুব পছন্দ করেছিল!

পার্নোর সঙ্গে আপনার কি অভিনয় জগতের বাইরেও কোনও রসায়ন আছে?

ওর সঙ্গে ছবি করতে গিয়েই আমার আলাপ!

বড্ড নিরামিষ উত্তর!

সব জায়গায় আমিষ খোঁজেন কেন আপনারা!

বুঝলাম। মরগ্যান হাউস ছাড়া কোথায় শ্যুটিং হল?

মরগ্যান হাউসে ছবির একটা বিরাট অংশ শ্যুটিং হয়েছে। এ ছাড়া কলকাতা এবং কালিম্পং মিলিয়ে খানিকটা।

মরগ্যান হাউসে শুনেছি রাত্তির বেলা গাছের ওপর ভূত নাচে!

ওখানে ভূতুড়ে গপ্পোর শেষ নেই।

ভুত দেখার চেষ্টা করেছেন? অনেকেই তো ওখানে রাতে জেগে থাকেন, ভূত দেখার জন্য!

হ্যাঁ হ্যাঁ, সেটা যারা বেড়াতে যায়, তারা! শুটিঙের সময় এত আলো জ্বলে, ভূতেরা বিরক্ত হয়ে পালায়।

বুঝলাম। কাহিনি তো হরনাথ চক্রবর্তীর পুত্র হিন্দোল চক্রবর্তী আর পদ্মনাভ দাশগুপ্ত মিলে করেছেন।

হ্যাঁ।

কবে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি?

২৯ সেপ্টেম্বর।

গপ্পো শুনে যা মনে হচ্ছে, এটা ঠিক হরনাথ চক্রবর্তী ঘরানা ছবি নয়!

একদম তাই! আর আমার আগ্রহটা সেখানেই। তাছাড়া প্রথম বার হরদার সঙ্গে কাজ করব এবং রঞ্জিত বাবুর (মল্লিক) সঙ্গে কাজ হল, সেটাও কোনও দিন হয়ে ওঠেনি।

রঞ্জিত মল্লিক তো খুব গল্পবাজ মানুষ!

খুব। ওঁর সঙ্গে পুরনো দিনের গল্প অনেক হয়েছে। মৃণাল সেনের সঙ্গে ওঁর প্রথম ছবি ‘ইন্টারভিউ’। তার গল্পটা চির দিন মনে থাকবে।

কী রকম?

তখন তো উনি একেবারেই নতুন। ‘ইন্টারভিউ’-তে নায়ক। নায়ক বললে, প্রচলিত যা ধারণা, একটু ধোপদুরস্ত, টিপটিপ হতে হবে। তো, শটের আগে চুল-টুল আঁচড়ে নিচ্ছিলেন তাই। আর মৃণাল সেন বারবার চুলটা ঘেঁটে দিচ্ছিলেন! এটা আমার খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে। এ রকম অনেক গল্প বলেছেন।

আপনার অভিনয়ের মধ্যে একটা অদ্ভুত সাদামাটা ব্যাপার আছে। পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী তো এই অভিনয় ধারায় বিশ্বাসী নন বলে মনে হয়! বকুনি খাননি?

হাহাহহা। অভিনয়ের ধারা কী রকম হবে সেটা অনেকটাই নির্ভর করে ছবির গল্পটা কী ভাবে বলা হবে তাঁর ওপর। হরদাই ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এই যা। তার পর সবটাই আমাদের ওপর ছেড়ে দেন।

ক’দিন শুটিং হয়েছে?

চোদ্দো-পনেরো দিন। পাহাড়ে বারো-তেরো দিন। কলকাতায় দু’তিন। খুব মজা করেছি। পাহাড়ে যখন কাজ করছি, তখন তো মেঘ, কুয়াশা, পাহাড় এরাও এক-একটা চরিত্র হয়ে উঠেছিল।

বাব্বা, এ তো পুরো কবি-কবি ভাব!

হাহাহাহা! তবে ছন্দের অভাব হয়নি।

সামনে পুজো। নতুন ছবি আসার ভাল খবর। কী বলবেন?

ওপর হরনাথ চক্রবর্তী আর রঞ্জিত মল্লিক বাংলা ছবির অত্যন্ত জনপ্রিয় জুটি। তাছাড় হরনাথদা বা রঞ্জিত মল্লিককে আমরা যে ধরনের ছবিতে দেখি তার থেকে একদম আলাদা। দর্শক উপভোগ করবেন বলে আমার বিশ্বাস। এমনিতেই মানুষ এখন থ্রিলার ভালবাসেন। এখানেও ‘হরর এলিমেন্ট’ থাকছে...

অর্থাৎ, ‘হরর এলিমেন্ট’ ও হরনাথ চক্রবর্তী, সঙ্গে চক্রবর্তী এবং চক্রবর্তী-র ডুয়েল— তাই তো?

সেই সঙ্গে মিত্র এবং মল্লিক। খেলা হবে। হাহাহাহা।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement