তিন রকম পোশাকে সাজগোজ, রূপটান, ছবি তোলার ফাঁকে ফাঁকেই চলল আড্ডা।
হিট ধারাবাহিক ‘কী করে তোকে বলব’-র পর তিনি সকলের কাছে 'রাধিকা' নামেই বেশি পরিচিত। ব্যস্ততা সামলে সেই স্বস্তিকা দত্ত হাজির হলেন আনন্দবাজার অনলাইনের পুজো শ্যুটে। তিন রকম পোশাকে সাজগোজ, রূপটান, ছবি তোলার ফাঁকে ফাঁকেই চলল আড্ডা। পুজোর পরিকল্পনা, সাজ-পোশাক নিয়ে কী বললেন রাধিকা, ওরফে স্বস্তিকা?
পুজোর পোশাক
পুজো খুবই প্রাণবন্ত একটি উৎসব। আর এ বছর আমার আলমারিতে থাকছে কিছু 'সলিড রং'। সলিড রং বলতে একরঙা পোশাক যেমন মেরুন, সমুদ্রনীল, অথবা প্যাস্টেল রঙের পোশাক। আমার মনে হয়, পুজো চুটিয়ে মজা করার একটা উৎসব তো, তাই তাতে লাল বা মেরুন রং দারুণ মানাবে। এই যে দেখতেই পাচ্ছেন, একটা অসাধারণ লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরে বসে আছি। আর লাল পাড়ের সাদা শাড়ি ছাড়া তো আমরা পুজোকে ভাবতেই পারি না। আর তার সঙ্গে আমি জবা ফুল দিয়ে সেজেছি। এ রকম অভিনব সাজ আপনারাও করার চেষ্টা করতে পারেন। এমন অভিনব সাজেই কাটাতে পারেন আপনার পুজোর দিনগুলো।
পুজোর পরিকল্পনা
এখন যা পরিস্থিতি, তাতে আগে থেকে পরিকল্পনা করে পুজো কাটানো বোধ হয় সম্ভব নয়। পরিকল্পনা করলে আবার তা ভেস্তেও যেতে পারে। কারণ সব কিছুই আমাদের বিধিনিষেধ মেনে করতে হচ্ছে, চলতেও হচ্ছে সেই মতো। তাই এই বছর পরিকল্পনা হবে সেই দিনটিতে বসেই। মানে সপ্তমীতে কী করব বা অষ্টমীতে কী করব, তা সেই দিনই সেই মুহূর্তে ঠিক করব। কিন্তু হ্যাঁ, কিছু জিনিস সঙ্গে থাকবে সব সময়। সেগুলি হচ্ছে, স্যানিটাইজার, মাস্ক আর নিজের সাহস।
শোভনের সঙ্গে ডেটিং
এই রে... পুজোয় শুধু এক জন মানুষ কেন, এই সময় আমাদের যারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু- তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই সময় কাটাতে ভালবাসি। কারণ, সারা বছর প্রত্যেকে আমরা কাজে ব্যস্ত থাকি। তাই পুজোর সময় এক জন দু' জনকে নিয়ে নয়, সবার সঙ্গে উপভোগ করব— এটাই আমার পরিকল্পনা।
তবু, শোভনের সঙ্গে?
অবশ্যই বেরোবো। সবার সঙ্গেই বেরোবো। তবে শোভনের সঙ্গে তো বেরোবো বটেই, কারণ প্রথম আমি ওকে চিনি এক পুজোর সময়েই। তাই পুজো ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে।
শোভন তোমাকে কোন পোশাকে পছন্দ করে?
(খানিক ভেবে) ও লিনেন শাড়িতে আমাকে দেখতে ভালবাসে।