ছবি: সংগৃহীত
অলৌকিক বলব নাকি নিছকই কাকতালীয়, তা আমার জানা নেই। তবে সে দিন খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
ঘটনাটা বহু বছর আগের। সম্ভবত সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি তখন। আমার বাড়ির সামনের বাড়িতে এক বয়স্ক ভদ্রলোক থাকতেন। চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত, থাকতেনও একাই। কখনও সে ভাবে আলাপ হয়নি তাঁর সঙ্গে। শুধু মাঝে মাঝে ওই বাড়ির বারান্দায় দেখা পেতাম তাঁর।
এক দিন দাদুর বাড়ি থাকতে গিয়েছি আমি। সেখানেই ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখি যে প্রতিবেশী ওই ভদ্রলোক একটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে এবং আমাকে কিছু বলার চেষ্টা করছেন। স্বপ্নে তো অনেক কিছুই দেখি আমরা। ওই দিন একাধিক ঘটনার ভিড়ে এই দৃশ্যটা কিন্তু আজও স্পষ্ট মনে আছে যে আমি ওঁকেই দেখেছিলাম সে দিন।
যথারীতি ঘুম থেকে উঠে ভুলেও গিয়েছি স্বপ্নের কথা। সন্ধেবেলা মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে, এমন সময়ে মা হঠাৎ করেই খবর দিলেন যে ওই ভদ্রলোক মারা গিয়েছেন। এই পর্যন্ত শুনে কিছুটা অবাক তো হয়েছিলামই। তবে এর পরের কথাটা রীতিমতো নাড়িয়ে দেয় আমাকে।
আমি জানতে পারি, কোনও এক স্টেশনে দেহ মিলেছে ওই ভদ্রলোকের। সেখানেই নাকি হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। নিজের মনকে আজও বোঝানোর চেষ্টা করি, সবটাই হয়তো কাকতালীয়। এমনকি সেটাই আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু সেই দিন খুব ভয় পেয়েছিলাম। ওই ভদ্রলোক কী ভাবে স্টেশনে পৌঁছলেন বা কেনই বা মৃত্যুর আগে তিনি আমার স্বপ্নে এলেন– এর উত্তর আজও আমার কাছে অধরা!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।