অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য
এ বছরের প্রাপ্তি বোনের ঘরে ফেরা, সঙ্গে এক বছরের ভাগ্নে, লিখছেন সাহেব ভট্টাচার্য
ধারাবাহিকে কাজ শুরুর পর থেকে খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটে। সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয় পরিবারের মানুষেরা। তাই পুজোতে বাড়ির লোক আর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেই নিখাদ আড্ডা মেরে আর জমিয়ে খেয়েই দিনগুলো কাটাতে চাই।
এ বছরের প্রাপ্তি বোন এবং এক বছর বয়সি ভাগ্নে। বেঙ্গালুরু থেকে বোন সোনম ভট্টাচার্যও এ বার পুজোয় কলকাতায় আসছে। বাড়ির সবাই তাই একসঙ্গে আড্ডা মারব আর খাব। যতটা বেশি সম্ভব সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটবে। তবে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার কোনও প্ল্যান নেই সে ভাবে। ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখা হয়ও না বহু বছর। তবে পুজোর সময়ে আকাশে-বাতাসে যে উচ্ছ্বাস, উত্তেজনার আমেজটা থাকে, তা একদম চেটেপুটে নিতে চাই। এই সময়টাতেই আসলে সারা বছরের কাজের এনার্জি প্রাণভরে নিয়ে নিই।
এ বছর একটা চাপা অস্বস্তি আছে বুকের মধ্যে, সে কথা অস্বীকার করছি না। তবু সকলকে অনুরোধ করছি বিচার ব্যবস্থার উপরে আস্থা রাখার জন্য। সারা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হওয়া সত্ত্বেও দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের প্রায় নয় বছর পরে দোষীরা শাস্তি পেয়েছিল। একমাত্র আইন-আদালতই পারে আমাদের সঠিক বিচার দিতে– এই আশা নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে গলা ফাটালেও একমাত্র জাস্টিস দিতে পারে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট।
এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।