অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র
অষ্টমীর সকালে মায়ের পরিয়ে দেওয়া লালপাড় সাদা শাড়ি, এই আমার পুজো, লিখলেন রুক্মিণী মৈত্র
পুজো মানেই আমার কাছে পুজোর রিলিজ। এ বছর মুক্তি পাচ্ছে আমার ছবি ‘টেক্কা’। তাই শারদীয়ার দিনগুলোয় বা তার আগে পুরোপুরি ছবির প্রচার নিয়েই ব্যস্ত থাকব।
আমার দাদা, বৌদি, আর আদরের ভাইঝি থাকে দিল্লিতে। ইচ্ছে আছে, অষ্টমীর দিন কলকাতায় অঞ্জলি দিয়ে মাকে নিয়ে সোজা উড়ে যাব ওদের কাছে। পুজোর ঠিক পরেই আমার ভাইঝির ১০ বছরের জন্মদিন। সেই সময়টা আমরা পুরো পরিবার একসঙ্গে থাকতে চাই।
আমার কাছে পুজো মানে একসঙ্গে থাকা, পরিবারের সঙ্গে থাকা। উৎসবের দিনগুলো বাড়ির সবার সঙ্গে উদযাপন করার মধ্যেই মনে হয় ভালবাসা লুকিয়ে থাকে। পুজো মানেই যে সব সময়ে বেড়াতে যাব, ঠাকুর দেখতে যাব– তা নয়। কিন্তু দিনে তিন বেলা বা চার বেলা পরিবারের সঙ্গে বসে জমিয়ে খাওয়াদাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ, একসঙ্গে থাকার যে সুখ লুকিয়ে আছে– তা একমাত্র পুজোই এনে দিতে পারে।
আমি অনেক ছোট বয়স থেকে মডেলিং শুরু করেছিলাম। তাই তার আগের দিনগুলোর পুজোর স্মৃতি আমার কাছে ভীষণ তীব্র ও স্পষ্ট। অষ্টমীর সকালে মা নিজের লালপাড় সাদা শাড়ি আমাকে পরিয়ে দিত ছোটবেলায়। সেই লালপাড় সাদা শাড়ি এখনও আমি অষ্টমীর সকালে অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে পরি। মায়ের লালপাড় সাদা শাড়ি পরাটা এখন যেন অষ্টমীর প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছোটবেলায় পুজোর সময়ে বড়দের প্রণাম করলে খামে মুড়ে কিছু দক্ষিণা পাওয়া যেত। পুজোর এই স্মৃতিটা আমার কাছে খুবই মিষ্টি। আমাদের বিল্ডিংয়ের সব বন্ধুরা মিলে পুজোর দিনগুলোয় বালতি হাতে খিচুড়ি-তরকারি, নুন-লেবু পরিবেশন করতাম। বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা চলত, কে কী পরিবেশন করবে। প্রথমে বিল্ডিং এর গুরুজনেরা খেতে বসত আর আমরা ছোটরা পরিবেশন করতাম। এই প্রথা এখন উঠে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমার পুজোর স্মৃতিতে এখনও জ্বলজ্বল করছে দিনগুলো।
এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।