ভূমধ্যসাগরের প্রায় মাঝে অবস্থিত ছোট দ্বীপ-রাষ্ট্র মালটা। যার রাজধানী শহর ভ্যালেটা।
২০১১ সালে এখানকার বাঙালিরা দুর্গাপুজো শুরু করেন। পাঁচটি বাঙালি পরিবার মিলে এখানে প্রথমে পুজো শুরু করেন। ২০১৮ সালে এই রাষ্ট্রে বাঙালি সংগঠন তৈরি হয়।
কলকাতার কুমোরটুলি থেকে দেবীর মূর্তি গিয়েছে ওখানে। প্রতিমা-শিল্পী মিন্টু পাল।
পুজো সাবেকি মতেই করা হয়। এ বার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সনাতনী মাতৃবন্দনা’।
এ বার অষ্টমী যেহেতু রবিবার পড়েছে তাই, অফিস, স্কুল সব ছুটি। তবে সপ্তাহের অন্য দিনে পুজো পড়লে সদস্যরা ছুটি নিয়েই মায়ের আরাধনা করেন।
বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে বাঙালি সংগঠন এখানে নিজেদের পুজো করে। যদিও নানা বাধা থাকায়, পুজোর সব নিয়ম তারা পালন করতে পারেন না। তবে ভক্তির কোনও খামতি থাকে না বলে দাবি তাঁদের।
পুজোর দিনগুলিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। নাচ, গান, নাটক সবই থাকে। তবে শিল্পীরা সবাই স্থানীয়।
অষ্টমীর দিনের পুজো সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। অন্য দিনগুলিতে শুধু বাঙালি সংগঠনের সদস্যরা পুজোয় যেতে পারেন।
নবমীর দিন গুজরাতি সংগঠনের সদস্যরা এখানকার বাঙালিদের সঙ্গে মিলে ডান্ডিয়ায় অংশ নেয়।
দশমীর দিন সিঁদুর খেলা হয়। তবে ঢাকের দেখা মেলে না। ‘ঢাকের মিউজিক’ বাজে।মালটায় জলে ঠাকুর বির্সজন দেওয়াতে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই প্রতিমা এখানে সংরক্ষিত রাখা হয়।এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।