দেশে দুর্গাপুজা দেখার মতো সৌভাগ্য শতকরা নিরানব্বই শতাংশ বাঙালিরই হয়তো হয়েছে। দেশে দুর্গাপুজোর পরিবেশ ও কাঠামো গত কয়েক দশকে অনেক বদলেছে। সেই বদল কী রকম বা আজকের সমাজে তার প্রাসঙ্গিকতা যে কী সেটা দেশে যারা থাকবে তারা বলতে পারবেন।
কিন্তু হিউস্টন, টিক্সে বসে দুর্গাপুজা পালন করার মতো অভিজ্ঞতা আপামর হিউস্টনের (আশপাশের শহরের) বাঙালিদের নয়নের মণি হয়ে রয়েছে বিগত দুই দশক ধরে। হিউস্টনে যখন প্রথমবার এই দুর্গাপুজা দেখি, মনে হয়েছিল এটাও সম্ভব? বিদেশ বিভূঁইতে এই মহা আয়োজন, এতো লোকের সমাগম, এতো উদ্দম ও উদ্দীপনা মনের মধ্যে নতুন করে একটা সাহস জুগিয়েছিল জীবনের প্রতি।
অনেকদিন কেটে গেছে, হিউস্টনের দুর্গাপুজা উত্তরত্তর উন্নতি করেছে এবং হিউস্টনের বাইরে বেরিয়ে সারা পৃথিবীর লোকের কাছে আজ পৌঁছে গেছে। সত্যি গর্ব হয় নিজেকে হিউস্টন দুর্গা বাড়ির একটা অংশ ভেবে।
২০২২ দুর্গা পুজোর মূল মন্ত্র – “তোমার বাড়ি আমার বাড়ি, পুজোই এবার দুর্গা বাড়ি।” প্রতিবারের মতো এবারেও থাকছে তিথি মেনে পুজোর আয়োজন, মনোগ্রাহী অনুষ্ঠান, মুখরোচক ও সুস্বাদু খাবার এবং আরও অনেক কিছু।
মহালয়ার দিনে অনুষ্ঠান পর্ব আরম্ভ হয়েছে, মহিষাসুরমর্দিনি দিয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অবিস্মরণীয় কির্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। রঙিন ও জাঁকজমক পুর্ণ ফ্যাশন শো, আনন্দ মেলার পুজো বাজার সবার মন কেড়ে নেয়।
এর পরে আগত স্বয়ং দুর্গা পুজোর দিন গুলি। উৎসাহ এবং আনন্দের বাঁধ ভেঙ্গে পড়েছে দুর্গা বাড়িতে। হিউস্টনের স্থানীয় কলাকুশলীরা গানে, নাচে, কবিতায় ভরিয়ে দিতে চলেছেন কিছু অনুষ্ঠান। আবার সুদূর কলকাতা থেকে আছেন সা-রে-গা-মা-পা খ্যাত রথিজিত ও শ্রেয়া ভট্টাচার্জ ও রাহুল দত্ত এবং মনীষা কর্মকার তাদের গানের সম্ভার নিয়ে। আরও উপরি পাওয়া থাকছেন গায়ক ও সঙ্গীতকার অ্যাবি ভি প্রতিবেশী দেশ ক্যানাডা থেকে সবার মন জয় করার জন্য।
এত কিছুর পরেও আসবে বিসর্জন, মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। কিছু মন খারাপ এর দিস্তা আর কুয়াশা ঘিরে ধরলেও বুকে জেগে ওঠে নতুন উদ্দম। কারণ হিউস্টন দুর্গা বাড়িতে “ বারো মাসে তের পার্বণ” লেগেই থাকে সংস্কৃতি, খেলা ধূলা ও পড়াশুনার মাধ্যমে।
হিউস্টনে শারদীয়া
শমীক ভট্টাচার্য, সেপ্টেম্বর ২৯, হিউস্টন, টিএক্স
দেশে দুর্গাপুজা দেখার মতো সৌভাগ্য শতকরা নিরানব্বই শতাংশ বাঙালিরই হয়তো হয়েছে। দেশে দুর্গাপুজোর পরিবেশ ও কাঠামো গত কয়েক দশকে অনেক বদলেছে। সেই বদল কী রকম বা আজকের সমাজে তার প্রাসঙ্গিকতা যে কী সেটা দেশে যারা থাকবে তারা বলতে পারবেন।
কিন্তু হিউস্টন, টিক্সে বসে দুর্গাপুজা পালন করার মতো অভিজ্ঞতা আপামর হিউস্টনের (আশপাশের শহরের) বাঙালিদের নয়নের মণি হয়ে রয়েছে বিগত দুই দশক ধরে। হিউস্টনে যখন প্রথমবার এই দুর্গাপুজা দেখি, মনে হয়েছিল এটাও সম্ভব? বিদেশ বিভূঁইতে এই মহা আয়োজন, এতো লোকের সমাগম, এতো উদ্দম ও উদ্দীপনা মনের মধ্যে নতুন করে একটা সাহস জুগিয়েছিল জীবনের প্রতি।
অনেকদিন কেটে গেছে, হিউস্টনের দুর্গাপুজা উত্তরত্তর উন্নতি করেছে এবং হিউস্টনের বাইরে বেরিয়ে সারা পৃথিবীর লোকের কাছে আজ পৌঁছে গেছে। সত্যি গর্ব হয় নিজেকে হিউস্টন দুর্গা বাড়ির একটা অংশ ভেবে।
২০২২ দুর্গা পুজোর মূল মন্ত্র – “তোমার বাড়ি আমার বাড়ি, পুজোই এবার দুর্গা বাড়ি।” প্রতিবারের মতো এবারেও থাকছে তিথি মেনে পুজোর আয়োজন, মনোগ্রাহী অনুষ্ঠান, মুখরোচক ও সুস্বাদু খাবার এবং আরও অনেক কিছু।
মহালয়ার দিনে অনুষ্ঠান পর্ব আরম্ভ হয়েছে, মহিষাসুরমর্দিনি দিয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অবিস্মরণীয় কির্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। রঙিন ও জাঁকজমক পুর্ণ ফ্যাশন শো, আনন্দ মেলার পুজো বাজার সবার মন কেড়ে নেয়।
এর পরে আগত স্বয়ং দুর্গা পুজোর দিন গুলি। উৎসাহ এবং আনন্দের বাঁধ ভেঙ্গে পড়েছে দুর্গা বাড়িতে। হিউস্টনের স্থানীয় কলাকুশলীরা গানে, নাচে, কবিতায় ভরিয়ে দিতে চলেছেন কিছু অনুষ্ঠান। আবার সুদূর কলকাতা থেকে আছেন সা-রে-গা-মা-পা খ্যাত রথিজিত ও শ্রেয়া ভট্টাচার্জ ও রাহুল দত্ত এবং মনীষা কর্মকার তাদের গানের সম্ভার নিয়ে। আরও উপরি পাওয়া থাকছেন গায়ক ও সঙ্গীতকার অ্যাবি ভি প্রতিবেশী দেশ ক্যানাডা থেকে সবার মন জয় করার জন্য।
এত কিছুর পরেও আসবে বিসর্জন, মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। কিছু মন খারাপ এর দিস্তা আর কুয়াশা ঘিরে ধরলেও বুকে জেগে ওঠে নতুন উদ্দম। কারণ হিউস্টন দুর্গা বাড়িতে “ বারো মাসে তের পার্বণ” লেগেই থাকে সংস্কৃতি, খেলা ধূলা ও পড়াশুনার মাধ্যমে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।