প্রতীকী ছবি
পুজোর কলকাতায় এমনিতেই ট্রাফিকের কড়াকড়ি একটু বেশি। তার উপরে যদি আপনি হন বাইক আরোহী, তবে তো কথাই নেই। সামান্য অসাবধানতায় মাথার উপর শাস্তির খাঁড়া ঝুলবে! পুলিশ কিন্তু সবাইকে জরিমানা করে না। অকারণে বাইক দাঁড় করিয়ে হেনস্থাও করে না। মাথায় রাখুন এই ক’টি জিনিস, যা আপনাকে ট্রাফিক পুলিশের নজরে আনতে পারে।
নম্বর প্লেটে গোলমাল:
সাধের বাইক অনেকেই মনের মতো করে সাজাতে পছন্দ করেন। আর তা করতে গিয়ে কায়দার নম্বর প্লেট লাগিয়ে থাকেন। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। গাড়ি চোরদের উপদ্রব কমাতে বেশ কয়েক বছর আগেই সরকার থেকে উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন নম্বর প্লেট লাগানোর বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়। তা ছাড়াও, ট্রাফিক বিধি অনুযায়ী এক-এক ধরনের নম্বর প্লেটের আলাদা আলাদা মানে থাকে। তাই আপনার নম্বর প্লেটটি যদি হয় বেশি অভিনব, তবে কিন্তু সমস্যায় পড়তে পারেন।
মডিফায়েড সাইলেন্সার:
অনেক সময়ে আরও ভাল বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা পেতে অনেকে সাইলেন্সার খুলে তার জায়গায় আরও দামি ও অত্যাধিক শব্দ সৃষ্টিকারী মডিফায়েড সাইলেন্সার লাগান। এতে খুব সহজেই পুলিশের চোখে পড়ে যেতে পারেন। এবং শব্দ দূষণের অপরাধে জরিমানাও হতে পারে।
দুইয়ের বেশি যাত্রী:
ট্রাফিক নিয়ম অনুযায়ী, আপনি এক জনের বেশি সহযাত্রী নিয়ে বাইক চালাতে পারেন না। তাই বাইকে যদি দু’জনের বেশি যাত্রী থাকে, আপনার জরিমানা হতে পারে।
হেডলাইট ব্যবহার করুন:
কলকাতার রাস্তায় গাড়ি বা বাইক চালাতে কোনও আলোর প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ট্রাফিক নিয়ম অনুযায়ী, বাইক বা গাড়ি চালানোর সময়ে হেডলাইট জ্বালানো বাধ্যতামূলক। তাই যদি আপনার বাইকের হেডলাইটটি খারাপ থাকে, তাতেও জরিমানা হতে পারে।
হেলমেট পরুন:
নতুন ট্রাফিক নিয়ম অনুযায়ী, হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় ৩০০ টাকা অবধি জরিমানা হতে পারে।
এ ছাড়াও, বাইক নিয়ে বেরোলে সঙ্গে রাখুন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অন্য কাগজপত্র। বাইক বা গাড়ি চালানোর সময়ে ফোনে কথা বলাও আইনত অপরাধ। এই ক’টি বিষয় মাথায় রাখলেই পুজোর সময়ে পুলিশের ঝামেলা থেকে নিস্তার মিলবে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।