২০১৯ সালে এই গাড়ি বিশ্বের সামনে এলেও তা কিন্তু এতদিন তৈরি হওয়া শুরু হয়নি। তবে স্পোর্টস কার এর সখ যারা রাখেন তাদের কাছে এই বার সুখের দিন। এফ জিরোকে বাজারে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থা।
রডিন কার সংস্থা এই গাড়ির ২৭ টি ইউনিট উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার প্রথম ইউনিট বাজারে আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই। জেনে নিন কবে?
স্পোর্টস কার মানেই গতির ঝলক। এই গাড়ির ক্ষেত্রেও তাই। অটোব্লগারদের মতে ডিজাইন ও গতিতে যেকোনও গাড়িকেই অনায়াসেই টেক্কা দিতে পারে এই গাড়ি।
এই গাড়িতে রয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী অথচ হালকা ও কমপ্যাক্ট ইঞ্জিন। ওজন মাত্র ১৩২ কেজি। রয়েছে ৪.০ লিটার টুইন – টার্বোচার্জড ভি ১০ ইঞ্জিন।
সাধারণ সুপার কার এর থেকে আলাদা দেখতে এই গাড়ির ওজনও করা হয়েছে অত্যন্ত কম। মাত্র ৬৯৮ কেজি। গাড়ির দৈর্ঘ্য ৫৫০০ এম এম ও প্রস্থ ২২০০এম এম।
গাড়ির চাকার সাইজ ১৮ ইঞ্চি। রয়েছে আটটি স্পিড ট্রান্সমিশন। গাড়ির সামনের চাকার প্রস্থ ৩০০ এম এম ও পিছনের চাকার প্রস্থ ৩৬০ এম এম।
কোম্পানির মতে বর্তমানে এই গাড়ি জিপি এফ১ রেসিং কারের থেকে বেশি গতিতে চলতে পারে। এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ৩৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
এই গাড়ির ৪.০ লিটার ইঞ্জিন ১১৫৯ এইচপি ও ১০২৬ এনএম এর পক টর্ক উৎপন্ন করে। এ ছাড়াও গাড়িতে রয়েছে একটি অধিক বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন যা এর পাওয়ারকে পৌছে দিতে পারে ১০,০০০ আরপিএম পর্যন্ত।
সংস্থার কথা অনুযায়ী অত্যাধুনিক এই গাড়ির প্রথম ইউনিট এর উৎপাদন শেষ হতে পারে ২০২৩ সালে। অর্থাৎ ২০২৩ সালেই বাজারে আসতে পারে এই গাড়ির প্রথম ইউনিট।
দুর্দান্ত ইঞ্জিন, কম ওজন, দারুন লুকের সঙ্গে আগেই আত্মপ্রকাশ করেছে এফ জিরো। এবার এই গাড়ি নিঃসন্দেহে গাড়িপ্রেমীদের মন জিতে নেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।