ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন সফিকুল। —নিজস্ব চিত্র।
দু’বার টেট দিয়েছেন। কিন্তু চাকরি মেলেনি। ভেঙে গিয়েছে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। আপাতত স্কুলের সামনে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন ভাঙড়ের সফিকুল আলি গাজি।
পানাপুকুর গ্রামে বাড়ি সফিকুলের। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সফিকুল সেজো। ২০১৬ সালে ভাঙড় মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। সফিকুল জানান, উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা থাকলেও বাবার মৃত্যুতে আর পড়াশোনা এগোয়নি। স্নাতক হয়েই প্রাথমিকে টেটে বসেছিলেন। উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরে আরও কিছু চাকরির পরীক্ষা দেন। তবে চাকরি মেলেনি।
ইতিমধ্যে ভাঙড়ের কচুয়া হাই স্কুলের সামনে ঝালমুড়ির দোকান দেন সফিকুল। বছর ছয়েক হল সে কাজই করছেন। দোকান সামলে ২০২১ সালে আবার টেটে বসেন। সে বারও সাফল্য আসেনি। বর্তমানে স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে সফিকুলের সংসার। সফিকুল বলেন, “বেশ কয়েক বার পরীক্ষা দিয়ে বুঝে গিয়েছি, চাকরি মিলবে না। টাকা দিতে পারলে হয় তো কিছু হত! কিন্তু আমার মতো গরিব মানুষ টাকা কোথায় পাবে। এটাই আমাদের নিয়তি। বাধ্য হয়ে হাল ছেড়ে এই পেশা বেছে নিয়েছি।”