অল্প একটু জায়গা ভেবেচিন্তে সাজিয়ে নিলে আপনার কাজে আসবে গতি
প্রায় দু’বছর ধরে সংক্রামক অতিমারি আমাদের রোজকের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। যার জন্য দৈনন্দিন চলাফেরায় রাশ টানতে হয়েছে। এমনকি, কাজও করতে হচ্ছে বাড়িতে থেকেই। প্রাথমিক ভাবে এটি আরামদায়ক বলে মনে হলেও বাড়িতে থেকে দিনের পর দিন এক টানা কাজ করতে করতে অনেক মানুষই এখন তিতিবিরক্ত। এই অস্বস্তি কাটাতে এই বসন্তে কলকাতার মানুষ নিজের ঘর সাজিয়ে নিতে পারেন একটু ব্যতিক্রমী ভাবে। যাতে বাড়িতে থেকে নিরন্তর কাজ করে যেতে অস্বস্তি না হয় আর।
১। কলকাতা শহরে এখন বসন্তের সবে শুরু। সেই কথা মাথায় রেখেই ঘরের একটি দেওয়াল বেছে নিয়ে তাতে লাগান উজ্জ্বল কোনও রং। কিংবা পছন্দের ওয়াল পেপার দিয়ে ঢেকে রাখুন দেওয়ালটি। এতে ঘরের চেহারা আমূল বদলে যাবে এবং আপনিও অনুভব করবেন তরতাজা। কাজকর্মের একঘেয়েমি অনেকটাই কেটে যাবে।
২। কাজকর্মের জন্য বেছে নিন কিছুটা জায়গা। তা যেন আপনার বাসস্থানের বেশির ভাগ অংশ দখল না করে। বরং অল্প একটু জায়গা ভেবেচিন্তে সাজিয়ে নিলে আপনার কাজেও আসবে গতি, আর বাড়ির অন্য বাসিন্দাদেরও কোনও সমস্যা হবে না। টেবিল, চেয়ার, কাজকর্মের জরুরি কাগজপত্র সুসংহত ভাবে রাখলে বার বার খোঁজাখুঁজির ঝঞ্ঝাট পোহাতেও হবে না। এ ছাড়া বহুমুখী আসবাবপত্রের উপর নির্ভর করতে পারলে অনেকটাই সুবিধা হবে।
কাজের জায়গায় একটু যদি সবুজের ছোঁয়া পান, তবে কাজকর্মের ক্লান্তি অনেকটাই কেটে যাবে
৩। কাজের জায়গায় একটু যদি সবুজের ছোঁয়া পান, তবে কাজকর্মের ক্লান্তি অনেকটাই কেটে যাবে আপনার। ফলে ঘরের মধ্যে একটি বা দু’টি টবে রাখতে পারেন পছন্দের গাছ। ছোট্ট কোনও উদ্ভিদ কাজের টেবিলেও আপনি রেখে দিতে পারেন। এতে যেমন মন ভাল থাকবে, তেমনই একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে যে অস্বস্তি, তাও অনেকটাই লাঘব হবে নিশ্চিত। কম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন এমন উদ্ভিদ যেমন স্নেক প্ল্যান্ট, সুকুলেন্ট ঘরে রাখার কথা চিন্তা করুন।
৪। আপনার কাজের জায়গা খুবই ছোট হলে মাথায় রাখুন সেখানে যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে। প্রাকৃতিক আলো একটি স্থানকে বড় হিসাবে উপস্থাপন করে। সম্ভব হলে জানলার পাশে বসে কাজ করুন। সূর্যালোক প্রবেশ করতে দিন। এতে যেমন আপনার দেহে তাজা অক্সিজেন ঢুকবে, তেমনই ঘরে আলাদা ভাবে আলো না জ্বালিয়ে দিনের আলোয় কাজ করে কিছুটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন। কলকাতার এই বসন্তের দিনের আলো আপনাকে অনেকটাই তরতাজা রাখবে।
৫। ঘরে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার বা ফেলার জায়গা নিয়ে চিন্তা করুন একটু সময় নিয়ে। না হলে পরিপাটি ভাবে কাজ করতে বসলেও দিনের শেষে ঘরের অবস্থা দেখে বিরক্তি আসতে বাধ্য। চিপসের প্যাকেট, ছেঁড়া কাগজ, কফির কাপ, টি-ব্যাগ ফেলার জন্য হাতের কাছেই রাখুন দড়ির ঝুড়ি বা হালকা ওজনের সুদৃশ্য বাক্স। এতে ঘর থাকবে সুসজ্জিত এবং কাজকর্ম করতে করতে আপনাকে বার বার উঠতেও হবে না।