শহর কলকাতায় কোথায় অন্দরসজ্জার সামগ্রী ঠিক দামে ভাল মানে পাওয়া যায়,রইল তার ঠিকানা।
অনেকেই আছেন যাঁরা নিজের বাড়ির অন্দরসজ্জা নিজেরাই করে নিতে চান। সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক সমস্যা, শহর কলকাতায় কোথায় কোন সামগ্রী ঠিক দামে ভাল মানে পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে ঠিক মতো না জানা। মার্বেল-টাইলস থেকে ঘর সাজানোর নানা সামগ্রী, ঠিক জায়গা থেকে নির্দিষ্ট দামে কেনাই মুনশিয়ানার কাজ। রইল সে সবের হদিশ।
মার্বেল কিম্বা টাইলস
শহরের নানা প্রান্তে মার্বেল এবং টাইলসের দোকান রয়েছে। বাইপাসের ধারে প্রচুর শোরুম রয়েছে মার্বেলের। পার্ক সার্কাসের বিশ্বকর্মা বিল্ডিংয়ের আশপাশে অনেক শোরুম রয়েছে,যেখানে মার্বেল এবং ইমপোর্টেড ওয়াল বা ফ্লোর টাইলস পাওয়া যায়। কলেজস্ট্রিটের মেডিক্যাল কলেজের আশপাশে প্রচুর দোকান রয়েছে যেখানে ওয়াল বা ফ্লোর টাইলস পাইকারি দামে পাওয়া যায়৷ মার্বেল চেনা এবং কেনা আদতে কঠিন কাজ। সঙ্গে এমন কাউকে নিয়ে যাওয়া ভাল, যিনি এ বিষয়ে পারদর্শী। এমন দোকান থেকে কিনুন, যেখানে ঘরের মাপ অনুযায়ী মার্বেল সাজিয়ে রেখে ভেনস মিলিয়ে তারপর কেনা যায়। দরকারে ভেনস মেলানোর পর ক্রেয়ন দিয়ে সিরিয়াল করে মার্বেলের উপরে নম্বর লিখে নেবেন। যাতে পরে অসুবিধা নাহয়।
প্লাইউড বা ভিনিয়ারের ক্ষেত্রে প্রায় সব ব্র্যান্ডেই ছাপা দামের থেকে কুড়ি,পঁচিশ শতাংশ কম পাওয়া যায়
প্লাইউড, ল্যামিনেশন
অন্দরসজ্জার আসবাবপত্রের কাজ মূলত প্লাইউড নির্ভর। প্রায় সমস্ত রকম আসবাবই প্লাইউড দিয়ে করা করা হয়ে থাকে আজকাল। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের চারপাশে নানা প্লাইউডের দোকান রয়েছে। হরেক রকম দাম ও মানের প্লাই এখানে মেলে। প্লাইউড তিন চার রকম মানের পাওয়া যায়। মেরিন,এম আর,ওয়াটার প্রুফ এবং লোকাল। ভিনিয়ার বা ল্যামিনেশনও পাওয়া যায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দোকানগুলোতে। প্লাইউড বা ভিনিয়ারের ক্ষেত্রে প্রায় সব ব্র্যান্ডেই ছাপা দামের থেকে কুড়ি,পঁচিশ শতাংশ কম পাওয়া যায়। ল্যামিনেশনের ক্ষেত্রে সেটা পাওয়া যায় না। সুতরাং সরাসরি প্লাই বা ভিনিয়ার কেনার সময় দোকানীর সঙ্গে কথা বলে নেবেন।
আরও পড়ুন:নীড় ছোট, ক্ষতি কী? ঘর সাজানোর কায়দা জানলেই জায়গা মিলবে অঢেল
হার্ডওয়্যার
ঘর সাজানোর জন্য যেকোনও হার্ডওয়্যার কিংবা ফিটিংস পাওয়ার সবচেয়ে সহজ ঠিকানা কলকাতার চাঁদনি চক মার্কেট। কেনার আগেকারিগরেরথেকে কী কী দ্রব্যকতখানিপ্রয়োজন জেনে নেবেন। বিভিন্ন মান এবং নানা দামের হার্ডওয়্যারচাঁদনি মার্কেটে পাবেন। এছাড়াও হার্ডওয়্যার বা কলের ফিটিংসের ক্ষেত্রে নাগেরবাজারের কিছু দোকান,কলেজস্ট্রিটে মেডিক্যেল কলেজের সামনের দোকানগুলোয় ভরসা করতে পারেন।
মাথায় রাখবেন, রঙের যা খরচ তার দ্বিগুণের চেয়ে কিছুটা বেশি হয় মিস্ত্রি খরচ
রং
মল্লিকবাজার,চাঁদনি মার্কেট,ভবানীপুর এসব জায়গায় রঙের বড় দোকান রয়েছে।মাথায় রাখবেন, রঙের যা খরচ তার দ্বিগুণের চেয়ে কিছুটা বেশি হয় মিস্ত্রি খরচ। এই অঙ্কটা মনে রাখলে সুবিধা হবে। যেমন, কাঠের কাজের বেলায় এর উপকরণের যা খরচ তার চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ শতাংশ মতো কারিগরিতে খরচ হয়।
আরও পড়ুন:ছাদেই নিশ্চিন্তে আম-কলা নারকেল গাছ! সম্ভব যদি এ ভাবে ভাবেন
কাচ
কাচের জন্য ধর্মতলার মেট্রোগলি রয়েছে। এছাড়াও কলুটোলা এবং বাগরি মার্কেটের বিপরীতে কাচের বড়বড় দোকান রয়েছে।বিভিন্ন নকশার কাচ,স্যান্ড ব্লাস্ট,এচিং বা শাওয়ার প্যানেলের জন্য কাচও এখান থেকে পাওয়া যায়।
কলকাতার বিভিন্নদোকানঘুরে নিজেউপকরণ কিনলে কিন্তু যাতায়াত বাদ দিয়েও খরচ অনেকটাইকম পড়ে।