শীতের হট অয়েল ট্রিটমেন্ট চুলের যত্নের সবচেয়ে কার্যকর উপায়
শীতের বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়া ছাড়াও রয়েছে মহানগরী জুড়ে দূষণ, যার প্রভাব পরতে পারে আপনার চুলে। তাই দরকার চুলের যত্ন বাড়ানো। শ্যাম্পু করার সময় অথবা আঁচড়ানোর সময় হাতে উঠে আসছে এক মুঠো চুল। তারই সঙ্গে লেজু জুড়েছে খুশকির সমস্যাও। তাই দূষণ ও শুষ্কতার হাত থেকে চুলকে রক্ষা করার কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই পেতে পারেন রেশমি ঘন চুল।আটকাতে পারেন চুল পড়াও।
শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরানো থেকে শুরু করে চুল পড়ায় লাগাম, সবেতেই তেলের আলাদা মুনশিয়ানা রয়েছে। সঙ্গে মিলবে খুশকির সমস্যার মুশকিল আসান। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ এর জুড়ি মেলা ভার। এমনকি, চুলের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলেও তার যত্ন নিতে ভরসা রাখুন হট অয়েল মাসাজের উপরেই।
শীতের হট অয়েল ট্রিটমেন্ট চুলের যত্নের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সহজ এই যত্ন বাড়িতেই করতে পারবেন প্রতি দিন। বিশেষ করে চুলে রং করা থাকলে এই হট অয়েল মাসাজ চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। শুষ্ক চুলে জন্য সপ্তাহে তিন দিন নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে গরম করে দিন। ওই মিশ্রণ দিয়ে চুলে ও মাথার ত্বকে আলতো মাসাজ করুন। সারা রাত খোঁপা করে রেখে সকালে শ্যাম্পু করে নিলেই মিলবে রেশমি ঘন চুল।
হট অয়েল মাসাজ চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকর
চুল খুব শুষ্ক বা তেলা কোনওটাই না হয়ে মাঝারি ধরনের হলে আলাদা করে সাপ্তাহিক নিয়মে অয়েল ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন পড়ে না। তবে চুলকে ঝলমলে আর সুস্থ রাখতে মাসে দু’ বার হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েলে ভরসা রাখতে পারেন। চুলের হারানো চমক ফিরে পান এই টোটকা মেনে চললেই।
আপনার চুল অতি তৈলাক্ত হলেও হট অয়েল ট্রিটমেন্ট চুলের গোড়াকে মজবুত করবে। এ ক্ষেত্রে আমন্ড তেল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে গরম করে এই ধরনের চুলে মাসাজ করুন। তবে সারা রাত চুলকে তেলে মুড়ে না রেখে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিলেই যথেষ্ট।