এখন যেমন বিকিনি প্যাড খুব ট্রেন্ডিং।
কলকাতার মানুষ তার শহরকে বাদ দিয়ে ফ্যাশনের কথা ভাবে না। মুম্বই বা বেঙ্গালুরুতে দেখেছি মানুষ শহর নয়, ব্র্যান্ড সচেতন। নামী ব্র্যান্ডের পোশাক পরার মধ্যেই তার সমস্ত ফ্যাশন। কিন্তু কলকাতা?
কলকাতায় প্রত্যেক মেয়ে ফ্যাশনে একে অপরের সঙ্গে আলাদা। কলকাতায় যেমন টিপ একটা বড় বিষয়। গোল লাল টিপ জিনস্ থেকে শাড়ি সবকিছুতেই চলে। এই ধাঁচটা একেবারেই কলকাতার। মুম্বইতে অফিস গোয়ার্সরা ব্র্যান্ডেড ফরমালস পরেই ক্ষান্ত। কিন্তু কলকাতায় প্রত্যেক মেয়ে আলাদা করে নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করেন। সেখানে হ্যান্ডলুম, কলকাতার ক্রাফট, হয়তো ডোকরা বা মাটির গয়না পরছেন তিনি।
ইদানীং ফ্যাব্রিকে কলকাতা শহরের একটা ছাপ দেখা যাচ্ছে। হলুদ ট্যাক্সি মানে কলকাতা। আর সেই প্রিন্টে ব্লাউজ কুর্তা থেকে শার্ট সব পরছেন কলকাতার মানুষ। ব্লাউজের পিঠেও আঁকা হচ্ছে ট্যাক্সি বা রিকশা। শরীর জুড়েই ‘আমার শহর’।
নানা রকম এক্সপেরিমেন্টাল পোশাকেই আগ্রহী কলকাতা
কলকাতায় মানুষ সরস্বতী পুজোয় হলুদপরেন। আর বইমেলায় খাদির কাপড় জড়িয়ে, জিনস পরে বন্ধুদের কাছে পৌঁছে যান। কলকাতা শহর হিসাবে এতটাই জমজমাট যে তার নানা রং এসে পরে মানুষের গায়ে। কোনও নির্দিষ্ট রঙে কলকাতাকে ব্যাখ্যা করা যায় না। কলকাতা জিনসের সঙ্গে যেমন শাড়ি পরতে পারে, তেমনই দুর্গা পুজোর বরণে লাল পাড়ের গরদে মোহময়ী হয়ে উঠতে পারে।
কলকাতার ছেলেরা বরং এখনও অনেকটা ট্রেন্ড থেকে দূরে। মুষ্টিমেয় একদল কাট আর স্টাইলে এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইলেও বেশির ভাগই তার থেকে দূরে। মুম্বইয়ের পুরুষরা আবার সে তুলনায় বেশ এগিয়ে।
কলকাতা জিনসের সঙ্গে যেমন শাড়ি পরতে পারে, তেমনই দুর্গা পুজোর বরণে লাল পাড়ের গরদে মোহময়ী হয়ে উঠতে পারে
তবে কলকাতা যতই নিজেকে ঢেলে সাজাক, আজও দেখি যে কোনও বিয়েবাড়িতে এখনও তেমন সাহসী নয়। এখন যেমন বিকিনি প্যাড খুব ট্রেন্ডিং। এ ক্ষেত্রে প্লানজিং নেকলাইন ক্লিভেজ— এই প্যাটার্নে চেনা বিয়ে বড়িতে এখনও সাবলীল নয় কলকাতা। ডিপ নেক লাইনের ক্ষেত্রে অবশ্য কিছু মেয়ে সাহসী হতে চান। কিন্তু অধিকাংশই এই বিষয়ে এখনও সাহসী নন। বরং বাঙালি আটপৌরে শাড়ি, মাথায় ফুল বা ফ্যাব্রিক আর কাট নিয়ে নানা রকম এক্সপেরিমেন্টাল পোশাকেই আগ্রহী কলকাতা।