হাতে টানা রিকশা: এখন খুব কমই দেখা যায় এই ধরনের রিকশা। তবে মধ্য কলকাতার কিছু চত্বরে গেলে পাওয়া যাবে। কোনও একটি রিকশায় উঠে বসুন। চালকের কষ্ট হচ্ছে ভেবে মন খারাপ হতেই পারে। তবে আপনি চড়ে বসলে তাঁর রোজগারও হচ্ছে। সে কথাও মনে করুন। হাতে টানা রিকশা মূলত চলে এমন কিছু ব্যস্ত সরু গলির মধ্যে দিয়ে, যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি হয়তো ঢোকার জায়গাই পাবে না। যদিও বা নিজের গাড়ি নিয়ে ঢোকেন, ভিড়ে আটকে বিরক্তিই আসবে বেশি। কিন্তু ঢিমে তালে চলা সেই রিকশায় চাপলে চোখে পড়বে শহরের এমন কিছু দৃশ্য, যা অন্য সময়ে খেয়াল করেন না।
ট্রাম: উত্তর কলকাতার কোনও একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়। প্রচণ্ড ব্যস্ত চার ধার। আগে যাওয়ার জন্য ধাক্কাধাক্কি করছে বাস-তার মধ্যে আপনার কোনও তাড়া নেই। ট্রামে চাপলে এমনই মনে হবে। আশপাশে যাঁরা বসে আছেন, তাড়া নেই তাঁদেরও। ধীর গতিতে শহরের কেন্দ্রস্থল দিয়ে যাবেন। চোখে পড়তে বাধ্য না দেখা বহু ধরনের মানুষ, দোকান, কাজ। এ শহরের মধ্যে যে কত রকমের জীবন আছে, তা চিনতে হলে মাঝেমাঝে চলার গতি কমানোও যে জরুরি!
ফিটন গাড়ি: কোনও এক ছুটির বিকেলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে চলে যান। পছন্দের কারও সঙ্গে উঠে বসুন একটি ফিটন গাড়িতে। সে এলাকার মসৃণ রাস্তা দিয়ে সাধারণ চার চাকায় চেপে অনেক গিয়েছেন। কিন্তু অ্যাকাডেমি, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ময়দানের চেহারা ছাদ ছাড়া রাজকীয় মেজাজের ফিটনে চাপলে কেমন হয় জানেন কি? মনে হবে হঠাৎ যেন কয়েক যুগ পিছিয়ে গিয়েছেন। পুরনো কলকাতার মেজাজ খানিক ছুঁয়ে দেখা যাবে।