শীতকাল প্রায় বিদায় নিতে চলল। কিন্তু কোভিডের ধাক্কায় এ বার চড়ুইভাতি করতে পারেননি অনেকেই। ফলে এই শেষ বেলার শীতে অনেকেই চাইছেন সুযোগ পেলে কলকাতার কাছাকাছি কোনও একটি স্থান থেকে ঘুরে আসতে। রইল কলকাতার অদূরে এমন তিনটি স্থানের হদিশ যা হয়ে উঠতে পারে বনভোজনের আদর্শ গন্তব্য।
Picnic Spots Near Kolkata: কলকাতার অদূরে অল্প চেনা তিনটি জায়গা যা হতে পারে বনভোজনের আদর্শ স্থান
যাঁরা কোভিডের ধাক্কায় বনভোজন করতে পারেননি, তাঁদের অনেকেই চাইছেন শেষ বেলার শীতে কলকাতার কাছাকাছি কোনও একটি স্থান থেকে ঘুরে আসতে।
বাওয়ালি রাজবাড়ি।
ছবি সৌজন্য: পর্যটন দপ্তর।
ভালকিমাচান
ছবি: সংগৃহীত
১। বাওয়ালি রাজবাড়ি
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালিতে অবস্থিত এই স্থানটির দূরত্ব কলকাতা থেকে মাত্র ৩৫-৩৬ কিলোমিটার। মণ্ডল পরিবারের এই ঐতিহাসিক রাজবাড়ি কালের নিয়মে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছিল। কিন্তু সেটিকে পুনরায় সংস্কার করে বর্তমানে একটি রিসর্ট হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। রাজবাড়ির ভিতর চড়ুইভাতি করার জন্য বিভিন্ন রকম খরচ রয়েছে। রাজবাড়ি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যেতে হয় এখানে। রয়েছে থাকা, খাওয়া ও রাত্রিযাপনের বন্দোবস্তও। আমিষ ও নিরামিষ দুই ধরনের খাবারই মেলে এখানে। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী শুভশ্রীর বিয়ের আয়োজনের পর থেকে বেশ খ্যাতি পেয়েছে এই স্থানটি।
২। রায়চক
গঙ্গার ধরে পিকনিক করতে চাইলে এই স্থানটি হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ গন্তব্য— রায়চক। কলকাতা থেকে রায়চকের দূরত্ব ৫৪ কিলোমিটার। হুগলী নদীর গায়ে এই স্থানটি এত বিস্তীর্ণ যে লোকজন বেশি থাকলেও খুব বেশি ভিড় মনে হয় না। নদীর পাশাপাশি এখানে রয়েছে দুর্গ। চাইলে ঘুরে নিতে পারেন সেটিও। যদি বিলাসবহুল ভাবে সময় কাটাতে চান তবে থাকতে পারেন নামজাদা রিসর্টেও।
৩। ভালকিমাচান
বর্ধমান রাজার শিকারভূমি ছিল ভালকিমাচান। তার স্মৃতি ধরে রেখেছে এখানে অবস্তিত ওয়াচটাওয়ার। শহরের কোলাহলের বাইরে শাল, সেগুন, পিয়ালের ছায়ায় এটি প্রকৃত অর্থেই হয়ে উঠতে পারে বনভোজনের আদর্শ স্থান। কলকাতা থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরলে ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায় ভালকিমাচানে। অল্প কিছু টাকায় ভাড়া নেওয়া যেতে পারে পিকনিক করার জায়গা। তবে থার্মোকল ও প্লাস্টিকের উপকরণ এখানে ব্যবহার করা যায় না। রান্না করতে হয় স্টোভে।