Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২১ নভেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

Second-hand books: পুরনো বইয়ের সন্ধান চান? কলকাতা শহরেই রয়েছে একাধিক বিখ্যাত জায়গা

নতুন হোক বা পুরনো, কলকাতা শহরের মানুষ মনের মতো বই পেলে আর হয়তো কিছুই চাইবেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৪৫

কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে আপনি খুঁজে পাবেন পুরনো বইয়ের অনেক দোকান।

কলকাতা বইপ্রেমীদের শহর। এখানকার মানুষের খাবারের প্রতি যতটা অনুরাগ, হয়তো তার চেয়েও বেশি আকর্ষণ পছন্দের বইয়ের প্রতি। নতুন হোক বা পুরনো, কলকাতার মানুষ মনের মতো বই পেলে আর হয়তো কিছুই চাইবেন না। হয়তো সেই জন্যই এই শহরে এশিয়ার বৃহত্তম পুরনো বইয়ের বাজার গড়ে উঠেছে। তবে কোনও এক জায়গায় নয়, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে আপনি খুঁজে পাবেন পুরনো বইয়ের অনেক দোকান। দরদাম করে কিনতে পারলে দুষ্প্রাপ্য মণিমুক্তোর সন্ধান এই সব দোকানে পেয়ে যেতে পারেন।

কলেজ স্ট্রিট
এশিয়ার বৃহত্তম পুরনো বইয়ের বাজার রয়েছে কলকাতার এই বইপাড়ায়। দেড় কিলোমিটারেরও বেশি অঞ্চল জুড়ে রাস্তার উপর বসে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের দোকান। যদিও দু’বছর আগের ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এই বইপাড়ার অনেকটাই ক্ষতি করে দিয়ে গিয়েছে, তবুও সময়ের সঙ্গে ছন্দে ফিরেছে কলেজ স্ট্রিট। এখানে নতুন বই তো মিলবেই। তার সঙ্গে কলেজ এবং স্কুলের ছাত্রদের সহায়িকা, পাঠ্যপুস্তক, শিশুদের বই, কথাসাহিত্য, শিল্পের বই, রান্নার বই বা ভ্রমণকাহিনি, বাংলা, ইংরেজি বা হিন্দিতে লেখা আরও পুরনো বইয়ের সম্ভার পাবেন আপনি একের পর এক দোকানগুলিতে।


পার্ক স্ট্রিট
কলকাতা শহরের সাহেবপাড়া বলে পরিচিত এই অঞ্চলটি নিজের আভিজাত্য বজায় রেখেছে গত কয়েক দশক ধরেই। এখানে বিখ্যাত বেকারি ফ্লুরিজ এবং উল্টো দিকে অলি পাবের সামনেই আপনি পাবেন পুরনো বইয়ের একাধিক দোকান। এই সব দোকানে বাংলা বই তেমন হয়তো চোখে পড়বে না কিন্তু দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিখ্যাত লেখকের ইংরেজি বই আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেবে। পার্ক স্ট্রিটের ফুটপাথের বেশ কিছুটা জুড়েই রয়েছে পুরনো বইয়ের এমন বেশ কয়েকটি দোকান। একই ধরনের বই পাবেন পার্ক স্ট্রিট থেকে বেরিয়ে ভারতীয় জাদুঘরের দিকে যেতেও। ফুটপাথে বসে বেশ কিছু পুরনো বইয়ের সম্ভার।

Advertisement
সময়ের সঙ্গে ছন্দে ফিরেছে কলেজ স্ট্রিট

সময়ের সঙ্গে ছন্দে ফিরেছে কলেজ স্ট্রিট


যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড
দক্ষিণ কলকাতার এই ব্যস্ত ক্রসিংয়ের ধারে ফুটপাথে বিক্রি হতে থাকা বইয়ের স্তূপ দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে থাকা দোকানগুলিতে সারা দিন ছাত্রছাত্রীদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। এই সব দোকানে আপনি সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির বই সেকেন্ড-হ্যান্ড পেয়ে যাবেন। পুরনো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অভিধানও পাওয়া যায় এখানে । এইট-বির এই বইয়ের দোকানগুলির মধ্যে প্রথমটি ১৯৮৪ সালে নেপাল চট্টোপাধ্যায় স্থাপন করেছিলেন। তিন দশক পরেও একই জায়গায় দোকান রয়েছে তাঁর।

কলকাতা শহরের মানুষ মনের মতো বই পেলে আর হয়তো কিছুই চাইবেন না

কলকাতা শহরের মানুষ মনের মতো বই পেলে আর হয়তো কিছুই চাইবেন না


গোলপার্ক
গড়িয়াহাট মূলত জামাকাপড় এবং অন্যান্য সাংসারিক জিনিসপত্র কেনার জন্য কলকাতাবাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এক বাজার এলাকা। কিন্তু এখানে যে পুরনো বইয়ের বিপুল সম্ভার রয়েছে তা অনেকেই ঠাহর করেন না। গোলপার্কের মুখ গড়িয়েহাট ফ্লাইওভারের কাছে রাস্তার এক ধারে বইয়ে ভরা বেশ কিছু দোকান আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। পুরনো বইয়ের এই দোকানগুলিতে আন্তর্জাতিক এবং ভারতীয় লেখকদের জনপ্রিয় কল্পকাহিনি, কমিক্স বই এবং ম্যাগাজিনের পুরনো অনেক সংখ্যা রয়েছে। তা ছাড়াও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দরকারি বই এখানে অল্প দামেই মিলবে।

বুক-টুক
ই এম বাইপাসের ধারে কালিকাপুরে অভিসিক্তা স্টপেজের কাছে এই পুরনো বইয়ের দোকানটি গত কয়েক বছরে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখানে পুরনো বই কেনার প্রক্রিয়াটি বেশ মজাদার। কিলো দরে পুরনো বই এখানে কিনতে হয়। বইয়ের ধরন অনুযায়ী কিলো প্রতি দাম নির্ধারিত হয়। এক দিন হাতে সময় নিয়ে এই দোকানে গেলে আপনি পছন্দের এক গুচ্ছ বই অত্যন্ত অল্প ব্যয়েই সংগ্রহ করতে পারবেন।

Advertisement