বিবেকানন্দ পার্ক
কলকাতার বিবেকানন্দ পার্কের ফুচকা বহু বার খবরের শিরনামেও উঠে এসেছে। ফুচকা ছাড়াও চুরমুর এবং চাট এখানে বিক্রি হয়। অনেকেই বলেন এমনি ফুচকার চেয়েও এখানকার সেরা খাবার হল দই ফুচকা। এ ছাড়া চাটনি ফুচকাও বেশ জনপ্রিয়। খেজুর, আমের শাঁস এবং পুদিনা দিয়ে বিশেষ মুখরোচক ভাবে তৈরি হয়।
বরদান মার্কেট
কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিট মূলত অফিসপাড়া। এখানকার ফুচকা বিশেষ প্রিয় আশপাশের অঞ্চলে। ধনে, মৌরি, জিরে এবং কসুরি মেথির মতো মশলার স্বাদ এখানকার ফুচকাকে একেবারেই ব্যতিক্রমী করে তুলেছে। এই অঞ্চলে সাধারণত ছয়টি ফুচকা পাওয়া যায় কুড়ি টাকায়। যা কলকাতার অন্য অঞ্চলের ফুচকার দামের থেকে একটু বেশি।
চক্রবেরিয়া
আপনি যদি আলু দিয়ে ফুচকা খেতে না পারেন, তবে সটান চলে যান চক্রবেরিয়ায় ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের কাছে। এখানে দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে যে ফুচকা ব্যবসায়ী সারা শহরে খ্যাতি পেয়েছেন। তিনি আলুর পরিবর্তে কাঁচা সবুজ কলা ব্যবহার করেন। মূলত জৈন সম্প্রদায়ের মানুষের কথা মাথায় রেখেই উদ্ভাবন করা হয়েছে এই অভিনব উপায়। জল, মরিচ, সেদ্ধ ছোলা এবং কলা ফুচকার পুর তৈরিতে ব্যবহার হয়। তেঁতুলের জলে ব্যবহার হয় পুদিনা পাতাও।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল
এই অঞ্চলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের প্রধান ফটকের সামনে ফুচকার দোকানে গত কয়েক দশক ধরে মানুষের ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। আলু, তেঁতুল আর পুদিনা দিয়ে মাখা আলুর পুর অনেকে আলাদা করে কিনেও নিয়ে যান। দই ফুচকা, চাটনি ফুচকা, শুকনো ফুচকাও বিক্রি হয় এখানে। শুধুমাত্র কলকাতা শহরের মানুষই নন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখে বেরোনোর পর অনেক ভিনদেশি মানুষকেও এখানে ফুচকা খেতে দেখা যায়, নিয়মিত।