শুধুই বড়দিনের কেক বা ওয়াইন নয়। বো ব্যারাকের গভীরে আছে আরও এক অজানা ইতিহাস। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এই এলাকা ছিল সেনাছাউনি। এখন পরিচিত মূলত অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের মানুষের পাড়া বলেই। এখানেই এক গলিতে আছে ‘মানেকজি রুস্তমজি ধর্মশালা’। পার্সি সম্প্রদায়ের জন্য এই ধর্মশালা তৈরি হয়েছিল ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে। উদ্দেশ্য ছিল, কোনও কাজ উপলক্ষে কলকাতায় আসা পার্সি সম্প্রদায়ের অতিথির যেন আশ্রয়ের অভাব না হয়। কিন্তু কে এই মানেকজি? প্রসঙ্গত কলকাতার প্রথম ভারতীয় শেরিফ ছিলেন মানেকজি রুস্তমজি। তিনিই কি নামকরণের নেপথ্যে? সে বিষয়ে অবশ্য নথি নীরব।
এক সময় এই অতিথিনিবাস সরব থাকত পর্যটকদের কল্যাণে। সে সময় একটি ঘরের এক দিনের ভাড়া ছিল ৮ আনা। থালাভর্তি খাবার মিলত ২ টাকায়। ১৯৩৬ সালের পরে ঘরভাড়া বেড়ে হয় ১২ আনা। খাবারের দাম হয় সাড়ে ৩ টাকা। এখন কলকাতার পার্সি সম্প্রদায়ের মানুষ এবং পার্সি পর্যটক, কমেছে দুই-ই। সে রকমই এক সময়ে, আজ থেকে ৮ বছর আগে এ শহরে এলেন দারা এবং মেহর হনসোটিয়া।
হনসোটিয়া দম্পতির আদি বাস ছিল গুজরাতের আমদাবাদে। দারা সরকারি চাকরি করতেন। স্ত্রী মেহর ছিলেন শিক্ষিকা। কিন্তু কয়েক বছর পরে দারা চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নেন। নিজেদের সবরকম যোগ্যতা জানিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেন তাঁরা। দেশের যে কোনও শহরে চাকরি চান। উত্তর পৌঁছয় কলকাতা থেকে। মানেকজি রুস্তমজি ধর্মশালায় একজন কর্মী দরকার, যিনি রান্নাঘরের সবরকম খেয়াল রাখবেন।