২০০৬ সালে ‘সেন্ট্রাল সেন্ট মার্টিন্স’-এ মহিলাদের পোশাক নিয়ে অধ্যয়ন করেন। ২০০৮ সালে চালু হয় ‘কল্লোল দত্ত ১৯৫৫’ ব্র্যান্ড। বিভিন্ন ফ্যাশন শো-এ ‘ভারতীয় ফ্যাশনের নতুন মুখ’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। কল্লোল দত্ত তাঁর অদ্ভুত প্রিন্ট, জ্যামিতিক নিদর্শন, আকৃতিহীন সিলুয়েট এবং সাহসী টেক্সচারের জন্য বিশেষ প্রশংসিত হয়েছেন। কখনও কখনও তিনি তুলো এবং সিল্ক ব্যবহার করেন। প্রায়শই ফেলে দেওয়া জিনিসপত্রের পুনর্নবীকরণ ঘটিয়ে বৈপ্লবিক পোশাক তৈরি করেন কলকাতার এই পোশাকশিল্পী।
অভিষেক দত্ত
নিজের জামায় ট্র্যাপিজ কাট এবং ড্রপড জ্যাকেটের মতো অস্বাভাবিক সিলুয়েট চাইলে ডিজাইনার অভিষেক দত্তের শরণাপন্ন হতেই হবে। অভিষেক ইতিমধ্যেই কলকাতার ফ্যাশন জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ইরফান খান, সোহা আলি খান, ইয়ামি গৌতম, সোনাল চৌহান, নেহা ধুপিয়া, জিসেল মন্ট্রিও, জ্যাসকুইলিন থেকে কঙ্কনা সেনশর্মা, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রাইমা সেন, রিয়া সেনের মতো তারকাকে সাজিয়েছেন নিজের তৈরি পোশাকে। প্রতি বছরই ইনি নতুন ধাঁচের পোশাক তৈরি করে মুগ্ধ করেন বাঙালি-সহ সারা পৃথিবীর ক্রেতাদের।
রিমি নায়েক
নিজের পোশাকে আপনি বাঙালি সংস্কৃতি এবং আধুনিক ফ্যাশনের মেলবন্ধন চাইলে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রশংসিত ডিজাইনার রিমি নায়কের পোশাকের সন্ধান করুন। বাংলা মোটিফের ব্যতিক্রমী ব্যবহার এই শিল্পীর কাজকে অন্যদের থেকে অনেকটাই আলাদা করে ফেলে। তিনি বর্তমানে বাংলা টাইপোগ্রাফি অনুসন্ধানের মাধ্যমে পোশাকের মধ্যেই বাংলা অক্ষরকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজ করছেন। ঐতিহ্যবাহী বাটিক, কাঁথা, ভেষজ রং এবং মুদ্রণ কৌশলগুলির নানা রকম ব্যবহারের ফলে এঁর তৈরি পোশাক কলকাতাবাসীর মনে এবং আলমারিতে জায়গা করে নিচ্ছে দ্রুত।
অমলরাজ সেনগুপ্ত
এই শহরে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা নিজেদের পোশাকে একটু পরীক্ষামূলক স্পর্শ চান। এই বিষয়ে অমলরাজ সেনগুপ্তের পোশাক হতে পারে মুশকিল আসান। গঠন, প্যাটার্ন এবং কাপড়ের ধরন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্বতন্ত্রতা তাঁর ডিজাইনকে প্রত্যেক বছর নতুন করে তুলেছে। যখন আমরা একটি কোট বা একটি জ্যাকেট পরি, তখন এটি প্রায়শই পোশাকের নীচে কুঁচকে যায়। অমলরাজ নিজের ডিজাইনে তা হতে দেন না। পোশাকে তিনি ব্যবহার করেন আরামদায়ক লিনেন। সূক্ষ্ম শৈল্পিক তথা নান্দনিক স্পর্শ থাকে তাতে।
পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বোনা বস্ত্রের প্রতি অনুরাগ নিয়ে কলকাতার বাঙালি পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জামদানি শাড়ি নিয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। তাঁর মূল কাজ বাঙালি পোশাক-আশাক নিয়েই। আঞ্চলিক শৈলী এবং দেশীয় শিল্পে অনুপ্রাণিত পোশাক নকশাদার পারমিতার পোশাক নিয়ে ভাবনার কেন্দ্রে রয়েছে গ্রামীণ তাঁতিদের তৈরি কাজ। কলকাতার বাসিন্দাদের জন্য এখানকার আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে তিনি তৈরি করেন শাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জামাকাপড়।