• লালের মতো স্পাইসি এবং হট কালারও থাকবে।
• নীলের মধ্যে রয়্যাল ব্লু, নেভি ব্লু, পাওডার ব্লু ইন।
• এ বছরে কালার প্যালেটে দুটো চয়েজ, লাইট অ্যান্ড ব্রাইট বা ডিপ অ্যান্ড মুডি।
কলকাতার অন্যতম ফ্যাশন ডিজাইনার প্রণয় বৈদ্যর মতে, স্প্রিং আর ফেস্টিভ সিজনের জন্য আবার কালেকশন তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২০-তে ফ্যাশন দুনিয়ায় স্থবিরতা এসেছিল। শুধু ফ্যাশন নয়, ঘরে বাইরে আমাদের গোটা জীবনযাত্রায় স্তব্ধতা এসেছিল। কিন্তু ২০২১ আবার ক্রমশ সচল। বিয়ে, উৎসব, অনুষ্ঠান চালু হয়েছে, খুব বড়সড় করে না করলেও হচ্ছে। লোক সমাগমে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বলে অন্য খাতে বাজেট বেশি। বিয়ের অনুষ্ঠানে শাড়ি গয়নায় বেশি ইনভেস্ট করছেন প্রায় সকলেই । ফলে ফ্যাশন আবার পুরোভাগে।
এ বছর, জুয়েল কালার ট্রেন্ডে। ব্রাইট কালার প্যালেট, যেমন এমিথিস্ট পার্পল, সিট্রিন ইয়েলো, ব্রাইট এমারেল্ড, গার্নেট মেরুন ট্রেন্ডে। এর পাশাপাশি হালকা রংও ট্রেন্ডে। কারণ এক একটা বয়সে এক-একরকম পছন্দ, তাই হালকা রঙের চাহিদা কমে না। লাইট কালার প্যালেটে মিন্ট গ্রিন, কোরাল পিঙ্ক, পিঙ্কিশ রোজ নজর কাড়বে।
আর এক নামী ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক রায় বললেন, "আমাদের দেশে ফ্যাশন দুনিয়ায় যে কোনও সিজনে ড্রাস্টিক চেঞ্জ কখনওই হয় না। বিদেশে হয়। ওদের একটা সিজন থেকে অন্য সিজনে ফ্যাশন ট্রেন্ড কালার সম্পূর্ণ বদলে যায়। এখানে ভারতীয়রা অনেক বেশি নিজেদের ইমোশনকে মূল্য দেয়, ফলে স্প্রিং সামার মানে আমরা বুঝি হালকা, সুদিং পেস্টাল শেড, আর ফেস্টিভ মানে জমকালো আর উইন্টার সিজনে ডার্কার শেড। কাজেই মার্চ-এপ্রিল ও পুরো গরম কাল আইভরি, হোয়াইট, অফ-হোয়াইট, লাইল্যাক, পিচ, হোয়াইট বা অফ-হোয়াইটের সঙ্গে গোল্ডেন, রোজ পিঙ্ক এই ধরনের কালারগুলোর চাহিদা থাকবে বেশি। ফেস্টিভ বা বিয়ের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রং, ডিজাইন, সবেতেই জমকালোর চাহিদা থাকে। যেমন মেটিরিয়ালের ক্ষত্রে জামেওয়ার, জারদোসি, জর্জেট, তসর, সিল্ক খুব চলে। রঙের ক্ষেত্রে গাঢ় লাল, ম্যাজেন্টা, এমারেল্ড গ্রিন, অরেঞ্জ, এই সমস্ত রঙের চাহিদা হয় বেশি। ২০২১-এ আবার সব ক্রমে স্বাভাবিক হচ্ছে। কেনাকাটিও শুরু হচ্ছে। কালার ট্রেন্ডের কথা বলতে গেলে এই সমস্ত রঙেরই চাহিদা থাকবে এ বছরেও।"