গত ৫০ বছরে কলকাতার আমূল বদল এসেছে। এই পরিবর্তন সাধারণ মানুষের কাজেও এসেছে। সালটা ১৯৭৩ সাল। বজবজের বাটানগর থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত ট্রেনে যাওয়ার পর সেখান থেকে বাস ধরে ময়দানে যেতাম। ঘরে ফিরতাম সেই ভাবেই। তখনকার ময়দানের পরিবেশের সঙ্গে এখনকার ময়দান অনেক আলাদা। সেই সময় মোহনবাগানের হয়ে অনুশীলন সেরে ইস্টবেঙ্গল মাঠের পিছন দিয়ে রেড রোডে গিয়ে বাস ধরতাম। সেই সময় ওই এলাকায় ছিল জনমানবহীন। প্রায়শই ছিনতাই হত। আমিও বেশ কয়কেবার ওদের খপ্পরে পড়েছিলাম। সেই তুলনায় এখন কিন্তু ময়দান অনেক আধুনিক। ময়দান জুড়ে আলোর ব্যবস্থা করা ছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থাঅনেক উন্নত হয়েছে। তবে ময়দান নিয়ে আলোচনা করতে গেলে খাওয়া-দাওয়া বাদ দেওয়া উচিত নয়। একাধিক ক্লাবে এখনও ঘুগনি-পাউরুটি, চিকেন ও মাটন স্টু, টোস্ট বিখ্যাত। খেলোয়াড়ি জীবনে সেগুলো যেমন আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল, এখনও কিন্তু তাই।
প্র্যাকটিসের পর ফেরার পথে কত বার যে ওদের খপ্পরে পড়েছি!
সালটা ১৯৭৩ সাল। বজবজের বাটানগর থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত ট্রেনে যাওয়ার পর সেখান থেকে বাস ধরে ময়দানে যেতাম। ঘরে ফিরতাম সেই ভাবেই।
মানস ভট্টাচার্য, ফুটবলার
আর যদি সামগ্রিক ভাবে শহরের কথা বলেন, তা হলে বলব পুরো শহর অনেক ঝাঁ চকচকে হয়েছে। তাই কলকাতা নিয়ে অনেকে নেতিবাচক কথা বললেও আমার কাছে এই শহরই সেরা। সবার কাছে ব্যক্তিগত গাড়ি নেই। বাসে চেপেও কিন্তু খুব সহজে কলকাতা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া সম্ভব।
আপনাদের সঙ্গে কলকাতার আর একটা বিশেষত্ব ভাগ করে নিতে চাই। এখনও কলকাতার বুকে মাত্র ২০ টাকায় পেট ভরে ডাল-ভাত-মাছ পাওয়া যায়। ভারতের আর কোনও শহরে এত কম দামে খাবার পাওয়া যায় বলে তো মনে হয় না। আমাদের শহরেও অনেক সমস্যা অনেক আছে। সব সমস্যার সমাধান হলে যে বাঁচার তাগিদ কমে যাবে। সেটাও কিন্তু মাথায় রাখা উচিত।