সুন্দরবনের নেতিধোপানিতে মন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র
বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের বহু পর্যটনকেন্দ্র। সেই ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটনকেন্দ্রগুলির মধ্যে বুধবার বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে দেখেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন সুন্দরবনের ঝড়খালি, নেতিধোপানি ও দোবাঁকি এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রবিকান্ত সিংহ, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর সুধীরচন্দ্র দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বন দফতরের ডিএফও সন্তোশা জি আর-সহ অন্য বনকর্মীরা।
বনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বুলবুল বিধ্বস্ত সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্রগুলি দ্রুত মেরামতির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজীব। সেই কাজ কতটা হয়েছে, কতটা কাজ এখনও বাকি রয়েছে ও বুলবুলের তাণ্ডবে ঠিক কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল—তা খতিয়ে দেখতেই এ দিন সকালে প্রথমে ঝড়খালিতে আসেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, “প্রায় একশো কিলোমিটার নাইলন ফেন্সিং নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেগুলি প্রাথমিক ভাবে মেরামতি করা হয়েছে। বাকি যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলিকেও দ্রুত ঠিক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে সাজিয়ে তোলা হবে।’’
সেখানে ঝড়খালি পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনের পাশাপাশি ব্যাঘ্র পুনর্বাসনকেন্দ্রও পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকা বাঘেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন বন আধিকারিকদের কাছ থেকে। এরপর বাঘের খাঁচায় কী ভাবে বাঘ থাকে, তারা কী খায়, কখন কখন তাদের খেতে দেওয়া হয় সে সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তিনি। ঝড়খালিতে চিড়িয়াখানা বা ওয়াইল্ড লাইফ পার্ক তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য বন দফতরের। প্রাথমিক কাজ শুরুও হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্টও তৈরি হয়েছে। অর্থ দফতরের অনুমোদনের জন্য তা পাঠানো হয়েছে। বুধবার ঝড়খালিতে সেন্ট্রাল জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি বিনোদ যাদবের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানেন রাজীব।
মন্ত্রী বলেন, “১০০ কোটি টাকা এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। সুন্দরবনের এই পর্যটনকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে।’’ অত্যাধুনিক ক্যানোপি, সিঙ্গাপুরের ধাঁচে পাখি পার্ক করারও পরিকল্পনা ঝড়খালিতে রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
ঝড়খালি থেকে বেড়িয়ে লঞ্চে চেপে নেতিধোপানীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন মন্ত্রী। সেখানে গিয়ে নিজের চোখে দেখেন বুলবুল কী ভাবে এই পর্যটনকেন্দ্রে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে।
জেটি থেকে শুরু করে বনকর্মীদের কোয়াটার, শেড, নাইলন ফেন্সিং, গাছপালা-সহ যা যা ক্ষতি হয়েছে সেগুলি দেখেন মন্ত্রী-সহ বন আধিকারিকরা। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে জঙ্গলের অবস্থাও নিজের চোখে দেখেন মন্ত্রী। দ্রুত যাতে সব কিছু মেরামতি করা যায় সে বিষয়ে বন আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy