হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। —ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের আনা ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প নিয়ে ফের যুব সমাজের ক্ষোভ উস্কে দিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু গত কাল অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের জন্যই যুব সমাজ সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ওই পার্বত্য রাজ্যে এ বার ভোট হবে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উপরে। হিমাচলে চারটি লোকসভার আসনের সঙ্গে ছ’টি বিধানসভা আসনেও উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১ জুন।
কেন্দ্রীয় সরকার যখন সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প চালু করেছিল, তখনই বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল, পঞ্জাব, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড-সহ দেশের নানা রাজ্যে হিংসাত্মক প্রতিবাদ হয়েছিল। কংগ্রেস প্রথম থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। এ বারের ভোটে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা দিল্লির ক্ষমতা দখল করলে ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প বাতিল করবে। গত কাল হামিরপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নান্দৌনে ভোটপ্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুখু। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সরকারের অগ্নিবীর প্রকল্পের জন্য দেশের যুব সমাজের একটা বড় অংশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করার উৎসাহ হারিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কেউ সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে মাত্র চার বছর তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করতে পারবেন। এটাই উৎসাহহীন হওয়ার মূল কারণ।’’
হামিরপুর লোকসভা আসনের বিদায়ী সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এলাকার উন্নয়নে তিনি কোনও কাজই করেননি বলে অভিযোগ সুখুর। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এলাকার উন্নয়ন নিয়ে অনেক লম্বা-চওড়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। উন্নাও-হামিরপুর রেল প্রকল্প নিয়েও অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু ওই প্রকল্প-সহ কোনও প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়িত হয়নি।’’ তাঁর দাবি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রাজ্য সরকার প্রশংসা পাওয়ার মতো কাজ করেছে। চালু করেছে পুরনো পেনশন প্রকল্প। এ বারের নির্বাচনে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন ও জনহিতকর কাজগুলি তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন সুখু।
রাজ্যসভা নির্বাচনের সময়ে গত মার্চে হিমাচল সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছিলেন ছ’জন বিধায়ক। পরে বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়া ওই ছ’জনের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন। সেই ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। সুখু বলেছেন, ‘‘যাঁরা দলত্যাগ করে বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন, তাঁরা পদ্মপ্রার্থী হয়েছেন। এর থেকে বোঝা যায় বিজেপি কতটা ক্ষমতালোভী। নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবেন।’’ সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy