সুকান্ত মজুমদার। — ফাইল চিত্র।
বাংলাকে কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’র অভিযোগকে সামনে রেখে এই বার সরাসরি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে তর্কে ডাকল তৃণমূল কংগ্রেস। বালুরঘাটে আজ, সোমবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চেই এই তর্ক-যুদ্ধ চায় তারা। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া তথ্যকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলেও তোপ দেগেছে তৃণমূল। সুকান্ত অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগে শাণ দিয়ে কারও নাম না করে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।
গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির হারের পরে রাজ্যের আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের প্রকল্পে কেন্দ্র এক পয়সাও দেয়নি, বিজেপি নেতাদের বিঁধে এমন অভিযোগ বার বার করছেন অভিষেক। কয়েক দিন আগে বেলদায় তাঁর সভা-মঞ্চেই বিজেপিকে বিতর্কে আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। প্রথমে যেতে চেয়েও পরে বিজেপি সে দিন জানায়, তারা ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ কোনও দলের নেতার সঙ্গে বিতর্কে আগ্রহী নয়। সেই সূত্রেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। যাকে আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়ে রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরে থেকে রাজ্যে এই দু’টি প্রকল্পে কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। সেটা যদি না হয়, তা হলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন বিজেপি নেতারা।” এর পরেই তাঁর সংযোজন, “আগামী কাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বালুরঘাটে (ওই লোকসভা এলাকার গঙ্গারামপুরে সভা) যাচ্ছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সেখানকার সাংসদ এবং এই বারেও প্রার্থী। উনিই বালুরঘাটে জায়গা ঠিক করুন। সেখানে গিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দেবেন, আমরা একটা টাকাও পাইনি। কিন্তু বিজেপি কি এই চ্যালেঞ্জ নেবে?” এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের অবশ্য সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “চোর আর শিক্ষককে কোনও দিন এক মঞ্চে মানায় না!” প্রসঙ্গত, সুকান্ত গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষক।
বস্তুত, রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিজেপিকে বেঁধে রাখতে পরিকল্পিত ভাবেই এগোচ্ছে তৃণমূল। সাম্প্রতিক প্রচারসভাগুলিতে এই কথা বার বার বলেছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক। এই বারে সুকান্তকে তর্কে ডাকার মাধ্যমে এই আবহই আরও চড়া হল বলে দাবি।
যদিও একাধিক সভায় অভিষেকের তোলা অভিযোগ খণ্ডন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। এক্স হ্যান্ড্লে তথ্য দিয়ে তাঁর দাবি, বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা। শুভেন্দুর দাবি, কেন্দ্র ২০২১-২২ সালেও রাজ্যের জন্য দুই প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ অনুমোদন করেছে। যদিও, এ ক্ষেত্রে তৃণমূলের দাবি, ওই টাকা ২০১৬-র। গত তিন বছরে এই বাবদ বরাদ্দ অর্থ দিয়েছে রাজ্যই। কেন্দ্র একটি পয়সাও দেয়নি। তাই বিরোধী দলনেতা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy