কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। —নিজস্ব চিত্র।
মোটের উপর ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হলেও কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি জায়গায়। বামেদের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসকদল। একই অভিযোগ করেছে বিজেপিও। পাল্টা বিজেপি এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
সোমবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছু পরেই তেহট্টের থানারপাড়া থানা এলাকায় একটি বুথে সিপিএমের পোলিং এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা এবং পরে হাতাহাতিও হয়। সেই ঘটনায় এক বাম কর্মীর মাথা ফাটে বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে থানারপাড়া থানার পুলিশ। নাকাশিপাড়ার আড়ারবেঘিয়া গ্রামের একটি বুথে একই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এক সিপিএম কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাপড়াতে সিপিএমের এক এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
চাপরা বিধানসভার সোনপুকুর দাস পাড়ায় ৯ এবং ১০ নম্বর বুথে সিপিএমের ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তেহট্ট বিধানসভার নারায়ণপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ এবং ১৯ নম্বর বুথেও গন্ডগোল হয়েছে। সেখানে সিপিএম এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সিপিএম পরিচালিত পালিতবেঘিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত কালীগঞ্জ থানা এলাকাতেও সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়ের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের লোকেরা। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম হাসমুত শেখ। অভিযোগ, সিপিএমের ক্যাম্পে বসতে দিচ্ছে না শাসকদলের নেতা-কর্মীরা।
কৃষ্ণনগরের সিপিএম প্রার্থী এসএম সাদির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে সকাল থেকেই। বাম কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। সন্ত্রাস রুখে দেবে তারা। সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে জানিয়েও ব্যবস্থা হয়নি।’’ বিজেপি প্রার্থী অমৃত রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টা জানিয়েছি।’’
অন্য দিকে, কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভোটে বাম এবং বিজেপি ইচ্ছাকৃত অশান্তি করতে চাইছে। তৃণমূল কর্মীরা যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দিচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy