Advertisement
Back to
Kalyan Banerjee

কল্যাণের প্রচারে প্রাক্তনের ঠাঁই, উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চনের বদলে পরাজিত প্রবীরের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী!

২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের কাছে পরাজিত হন তিনি। তাঁকে দেখা গেল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে।

Kalyan Banerjee

প্রাক্তন ও বর্তমান: (বাঁ দিকে) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঞ্চন মল্লিক। (ডান দিকে) কল্যাণের সঙ্গে প্রবীর ঘোষাল। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৮
Share: Save:

প্রচারগাড়ি থেকে কাঞ্চন মল্লিককে নামিয়ে দেওয়ার পর শুক্রবার আর তাঁকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা যায়নি। উত্তরপাড়ার বর্তমান বিধায়ককে ‘বাদ’ রেখে প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে নিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে দেখা গেল কল্যাণকে। প্রবীর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। উত্তরপাড়া থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েছিলেন প্রবীর। তৃণমূলের কাঞ্চনের কাছে পরাজিত হন ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক। এখন প্রবীর অবশ্য বিজেপিতেও সক্রিয় নন, আবার তৃণমূলেও ‘অফিশিয়ালি’ যোগদান করেননি। সেই প্রবীরকে দেখা গেল কল্যাণের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পথে।

বৃহস্পতিবার কল্যাণের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন। কিন্তু আচমকাই কাঞ্চন ওই প্রচারগাড়ি থেকে নেমে যান। কল্যাণ জানান, গ্রামের মহিলারা ‘রিয়্যাক্ট’ করছেন কাঞ্চনকে নিয়ে। অন্য দিকে, অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন জানান, ‘বিক্ষোভের’ কারণ যদি তাঁর বিয়ে হয়, তবে তিনি বিয়ে করে বেশ করেছেন।

শুক্রবার উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীরকে দেখা গেল কল্যাণের সঙ্গে কোন্নগর শকুন্তলা কালীবাড়িতে পুজো দিচ্ছেন। তার পর উত্তরপাড়া থেকে মনোনয়ন জমা দিতে চুঁচুড়া রওনা দেন শ্রীরামপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে আসা প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর বলেন, ‘‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তিন বার জিতেছেন। এ বারও জিতবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কল্যাণ আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধু। শুধু বন্ধুই নন, তিনি এক জন আদর্শ সাংসদ। সংসদে ভোটে জিতে অনেক জনপ্রতিনিধিকেই আর ময়দানে দেখা যায় না। তার বিপরীত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি দিন নেই, রাত নেই সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছেন।’’

আর কল্যাণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর বলেন, ‘‘দেড় লাখের বেশি ভোটে জিতব। তবে মানুষের দাবি দু’লক্ষ ভোটে জেতার। দেখি, কতটা মার্জিন বাড়াতে পারি।’’

কল্যাণের দাবি, গত ১৫ বছর সাংসদ হিসাবে শ্রীরামপুরের প্রচুর কাজ করেছেন। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যে ক্রেজ় দেখা গিয়েছিল, ২০২৪ সালে সেটা আবার ফিরে এসেছে। এ বার সব লোকসভা আসনেই তৃণমূলের ভোট বাড়বে।’’ যদিও কাঞ্চন এবং প্রবীরের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কল্যাণ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE