—প্রতীকী চিত্র।
‘এক দেশ-এক ভোট’ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ১১ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রের তরফে তৈরি উচ্চপর্যায়ের কমিটিকে। আজ সেই আপত্তির কথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে তৈরি ওই কমিটির সদস্যদের জানিয়ে এলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে যোগ দিতে মমতার দিল্লি আসার কথা থাকলেও রাজ্য বাজেটের কারণে গতকালই দিল্লি সফর বাতিলের কথা জানান তিনি।
বৈঠক শেষে সুদীপ বলেন, “আমরা এক দেশ-এক ভোটের পক্ষে নই। বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছি, দেশে প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অব গভর্নমেন্ট প্রণয়নের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তারই পদক্ষেপ হিসেবে এই কর্মসূচি গোপনে আনা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে নিয়ে এসে পরে তার আসল চেহারা দেখানো হবে।” সুদীপের দাবি, তাঁদের তোলা আপত্তি কমিটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কোবিন্দ। সুদীপ আজ দলত্যাগ-বিরোধী আইন শক্তিশালী করার দাবিও তুলেছেন। কল্যাণ বলেন, “এক দেশ-এক ভোট হলে অর্থের সাশ্রয় হবে বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এক দিকে টাকা খরচ, অন্য দিকে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার— কার পাল্লা ভারী? সংবিধান দেশবাসীকে ৫ বছরের জন্য সরকার নির্বাচনের অধিকার দিয়েছে। কী ভাবে তা হরণ সম্ভব? এ আসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় দখলদারি।”
সূত্রের খবর, কমিটিতে অধীর চৌধুরীর নাম থাকার বিষয়টি নিয়ে চিঠিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা। প্রসঙ্গত, কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে পর্যন্ত অধীর ওই সদস্যপদে সম্মতি জানিয়েছিলেন, পরে তিনি সেই কমিটি থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন। আজ এই কমিটির সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করেন সিপিএম এবং এসপি নেতারাও। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির কথায়, “এ ধরনের কথা ভাবাই ভুল। এটি সংবিধান, গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy