—প্রতীকী চিত্র।
রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বচসা গড়াল মারামারিতে। বিজেপি নেতাকে গালাগালি এবং মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, দলের সঙ্গে ওই গন্ডগোলের সম্পর্ক নেই। বাড়ির মালিকের অনুমতি ছাড়া বিজেপি তাঁর বাড়ির সামনে পতাকা বাঁধতে যায়। এ নিয়ে ওই বাড়ির মহিলা সদস্য প্রতিবাদ করায় তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে মহিলার চিৎকারে গ্রামের কয়েকজন চড়াও হয়ে বিজেপি নেতাকে মারধর করেছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
শনিবার রাতে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাতারের বালসিডাঙা গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আহত অবস্থায় বিজেপি যুব মোর্চার বর্ধমান বিভাগের কনভেনার সৌমেন কার্ফা এখন বর্ধমানের জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সৌমেনের অভিযোগ, ‘‘গত ৭ তারিখ ভাতারে শুভেন্দু অধিকারীর সভার জন্য বালসিডাঙা এলাকায় পতাকা বাঁধতে গেলে তৃণমূলের লোকজন ঘিরে ধরে লাঠি, রড দিয়ে আক্রমণ করা হয়। কিল-ঘুষি-লাথি মারা হয়। এমনকি, খুনের চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নির্দেশে এই হামলা হয়েছে।’’
ওই বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, এক মহিলাকে আমার গায়ে ঠেলে দেয়। যাতে আমার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দেওয়া যায়। ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই দাবি করে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের দাবি, ‘‘বাড়ির অনুমতি ছাড়া একটি বাড়িতে পতাকা লাগাতে গেলে বাড়ির মহিলা প্রতিবাদ করে মহিলার শ্লীলতাহানি করলে গ্রামের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে মারধর করেছেন।’’ বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার বিজেপির ইনচার্জ কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল পরিকল্পনা করে এই হামলা করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শ্লীলতাহানির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটা বিজেপির সংস্কৃতি নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy