Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

ভোট গণনার দিন কারচুপি হতে পারে গণনাকেন্দ্রে! আশঙ্কা কংগ্রেসের, কী বলল নির্বাচন কমিশন?

জয়রাম রমেশ দাবি করেছিলেন, গণনার দিন গণনা প্রভাবিত করতে প্রায় দেড়শো জেলাশাসককে ফোন করেছেন অমিত শাহ। বিষয়টি ঠেকাতে কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলেন জয়রাম।

স্ট্রংরুমের সামনে করা প্রহরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে।

স্ট্রংরুমের সামনে করা প্রহরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪ ০৭:৩৪
Share: Save:

ভোট গণনার দিন গণনাকেন্দ্রে কারচুপি হওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল কংগ্রেস। আজ সেই আশঙ্কা খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন।

গত কাল কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ দাবি করেছিলেন, গণনার দিন গণনা প্রভাবিত করতে প্রায় দেড়শো জেলাশাসককে ফোন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিষয়টি ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলেন জয়রাম।

আজ জয়রাম রমেশকে পাল্টা চিঠি লিখে ওই দেড়শো জেলাশাসকের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তাদের কাছে এ ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। এমনকি কোনও জেলাশাসক কমিশনকে এ ধরনের কোনও কিছু জানাননি। কিন্তু যে হেতু জয়রামের মতো বর্ষীয়ান, দায়িত্ববান একজন রাজনীতিক ওই অভিযোগ করেছেন, সেই কারণে বৃহত্তর স্বার্থে ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার লক্ষ্যে বিষয়টির সামনে আসা উচিত বলেই মনে করে কমিশন। তাই কোন কোন জেলাশাসককে অমিত শাহ ফোন করে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন, সেই জেলাশাসকদের তালিকা জয়রাম যেন আজ সন্ধ্যার মধ্যে কমিশনকে জমা দেন, চিঠিতে সেই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

জয়রামের পাশাপাশি কংগ্রেসের আর এক নেতা অজয় মাকেন অভিযোগ করেন যে, নির্বাচন কমিশন যে নতুন নিয়ম করেছে, তাতে গণনার সময়ে সহকারী রির্টানিং অফিসারের টেবিলে কোনও প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট বসতে পারবেন না। মাকেন তাঁর এক্স-হ্যান্ডলে লেখেন যে, তিনি লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন মিলিয়ে ন’বার লড়াই করেছেন। কিন্তু অতীতে এ ধরনের কোনও নিয়ম ছিল না। তাঁর দাবি, ‘‘এর ফলে ভোট গণনার সময়ে কারচুপির সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যা ইভিএম কারচুপির থেকেও বড় কারচুপি। আশা করব নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’’

মাকেনকে সমর্থন করে বিষয়টি নিয়ে সরব হন জয়রাম রমেশও। কংগ্রেসের পক্ষে প্রকাশ্যে ওই অভিযোগ আসার পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে দিল্লি নির্বাচন কমিশন। তাদের পক্ষ থেকে এক্স সমাজমাধ্যমে জানানো হয়, প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রির্টানিং অফিসারের টেবিলে বসতে পারবেন। কমিশন এ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাকেন বলেন, ‘‘বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ। কেন না নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ করা রিটার্নিং অফিসার আজ সকাল পর্যন্ত এই নিয়ম মানতে রাজি ছিলেন না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy