ঘাটালের বিশালাক্ষী মন্দিরের সামনে বিজেপির রোড শোতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
গত শনিবার ভোটে পদ্মপ্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় রয়েছেন তাঁর নিজের ভাইও। কিন্তু ভোটের প্রথম প্রচারে যাঁর পাশে দাঁড়াতে ঘাটালে ছুটে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী, তাঁর নাম হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার ঘাটালে সঙ্কল্প যাত্রার মাধ্যমে কার্যত ভোটের প্রচারে শামিল হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এ দিনের পথসভা থেকে রাজ্য সরকারকে বিঁধে সন্দেশখালি-সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ সামনে আনলেও, ঘাটালের পদ্মপ্রার্থী হিরণের কথায় কোনও চমক শোনা যায়নি।
সোমবার ঘাটালের রানিরবাজার থেকে বিজেপির পদযাত্রা শুরু হয়েছিল। কর্মসূচি পূর্ব-ঘোষিত হলেও, তার মাঝে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় এ বার ভোট প্রচার শুরু হয়ে যাবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। রানিরবাজার থেকে পদযাত্রা শুরু হলেও বরদার কাছাকাছি এলাকা থেকে পদযাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু ও হিরণ। সেখান থেকে ঘণ্টাখানেক হেঁটে পথসভার মঞ্চে পৌঁছয় পদযাত্রা। সেখানেই বক্তব্য রাখেন নেতৃত্বরা। পথসভায় ঘাটালের সাংসদ দেবের নাম করে তাঁকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও ‘ডুমুরের ফুল’ বলে কটাক্ষ করে হিরণকে জয়ী করার আর্জি জানান শুভেন্দু।
তবে এ দিনের সভায় হিরণের কথায় সেই চমক ছিল না! মাত্র কয়েক সেকেন্ড কথা বলেই তিনি মাইক্রোফোন তুলে দেন শুভেন্দুর হাতে। হিরণকে কেবল বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি আশা করব, আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে আমরা ঘাটাল লোকসভা থেকে মোদীজিকে জেতাব।’’ তবে পথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হিরণ একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন। তবে শুভেন্দুর কথায় উঠে আসে ঘাটালে রেলপথ তৈরি এবং ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘ঘাটালের ইড়পালা থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত রেললাইন চালুর জন্য রেল দফতর উদ্যোগী। রাজ্য সরকারকে জমি চেয়ে একাধিক বার চিঠি দিয়েছে। জমি কিনতে রেল টাকা দেবে। কিন্তু রাজ্য সরকার তৎপর হয়নি।’’ আবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নয়া ঘোষণা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘প্রকল্প কার্যকর করতে জমি দরকার তো? জমি অধিগ্রহণ করেছেন? তা হলে প্ল্যান হবে কী করে?’’ এ দিন দেবকেও বেঁধেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘ভোট এলে তিনি দেড় মিনিটের বক্তব্য রাখেন সংসদে গিয়ে। লকডাউন, বন্যার সময় সাংসদকে দেখা যায়নি। জল শুকিয়ে গেলে তিনি আসেন। দুর্নীতিগ্রস্ত, কাটমানি খাওয়া সাংসদকে পরিবর্তন করতে হবে।’’
এ দিন শুভেন্দুর কথায় ছিল সন্দেশখালির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালি জ্বলছে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসছেন। নারীদের উপর অত্যাচারের বদলা নিতে হবে।’’ তবে শুভেন্দুর এ হেন আক্রমণকে আমল দিতে নারাজ শাসক শিবির। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, ‘‘বিজেপির যে কোনও দিশা নেই, তা ভোট প্রচারই স্পষ্ট হয়ে গেল। ঘাটাল নিয়ে তাঁদের কোনও লক্ষ্যও নেই। তাই এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy