প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যে প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে যেখানে, সেখানে বুধবার বিজেপির দেশ জুড়ে দ্বিতীয় প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করলেও
তাতে থাকল না বাংলা। বিজেপি শিবির ইতিমধ্যে বাংলার ২০টি আসনে (তার মধ্যে একটিতে প্রার্থী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন) প্রার্থীদের নাম জানালেও বাকি আসনগুলির ক্ষেত্রে কবে তা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন ‘দেরি’ দলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। রাজ্য বিজেপির অবশ্য দাবি, তাদের ভোট হবে পদ্মফুল চিহ্ন আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখকে সম্বল করে। বিজেপি সূত্রের খবর, বিতর্ক এড়াতে এবং কিছু কারণে জল মাপতেও সময় নেওয়া হচ্ছে। তবে ১৫ জন প্রার্থীর পরবর্তী তালিকা তৈরি আছে। দু-এক দিনের মধ্যে সেই তালিকা ঘোষণা হতে পারে।
বিজেপি নেতা স্বপন সমাজ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, ‘‘বিজেপি অন্তত ১০ দিন আগে প্রার্থী ঘোষণা করে যে গতির সঞ্চার করেছিল, তা পরবর্তী তালিকা ঘোষণা করতে দেরি হলে রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। তৃণমূল একটি নিষ্ঠুর দল, যারা ব্যাকরণ মেনে চলে না। ফলে, দেরি হলে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা ছড়াতে পারে, যা দলের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।” যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “বিজেপির ভোট হয় পদ্ম প্রতীক ও মোদীজি’র মুখ দেখে। প্রার্থী উপলক্ষ মাত্র। মানুষ বিজেপিকেই ভোট দেবেন, সে যিনিই প্রার্থী হন আর যখনই তাঁর নাম ঘোষণা হোক।”
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ বাংলার ২০টি-সহ দেশ জুড়ে ১৯৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। দলীয় সূত্রে খবর ছিল, তার দিন দশেকের মধ্যেই বাংলার ১৪টি-সহ মোট ৯৯টি আসনের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে বিজেপি নেতৃত্ব বাংলার জন্য একটি তালিকাও তৈরি করেছিলেন বলে সূত্রের দাবি। কিন্তু এ দিন দেশের ৭২টি কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হলেও তাতে বাংলার নাম নেই।
সূত্রের দাবি, মূলত বাংলার ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির’ জন্য এখনও কিছু আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা যায়নি। শাসক দলের প্রার্থিতালিকার পরে তৃণমূলের কিছু ‘অসন্তুষ্ট হেভিওয়েট নেতা’ বিকল্প ভাবনার কথা জানিয়েছেন। ওই নেতাদের দলে শামিল করা নিয়ে একাধিক মত রয়েছে বিজেপির অন্দরে। কিছু বিশিষ্ট জনকে রাজি করিয়ে দলে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়েও জটিলতা রয়েছে। পাশাপাশি, প্রার্থী ঘোষণার পরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে যথাসম্ভব ‘বিতর্কহীন’ তালিকা প্রস্তুত করতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্তের বক্তব্য, “বিজেপি ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল নয়। বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হয় নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে। বাংলার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা এখনও হয়নি। আলোচনার পরে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy