পুরুলিয়ার বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর প্রচারে কাশীপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছবি: সঙ্গীত নাগ।
দুই জেলার পুলিশ সুপারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পরে অন্য পুলিশকর্তাদের ভূমিকা নিরপেক্ষ হবে বলে আশা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। মঙ্গলবার পুরুলিয়া লোকসভার কাশীপুরে রোড-শোর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, “গত কয়েক দিনে দুই জেলার পুলিশ সুপার বদলি হয়েছেন। আমার বিশ্বাস এ থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্য পুলিশকর্তারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবেন। আমরা চাই না, তাঁরা বিজেপির হয়ে কাজ করুন। শুধু মেরুদণ্ড সোজা রেখে কাজ করুন। বাকিটা বিজেপি বুঝে নেবে, দেখে নেবে।”
গত ১৯ মে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সম্পর্কিত কোনও কাজে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারকে রাখা যাবে না বলে নির্দেশ কমিশনের। এই আবহে বিজেপির রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, মত রাজনৈতিক শিবিরের।
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ কাশীপুর রাজবাড়ি মোড় থেকে পুরুলিয়া কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর সমর্থনে রোড-শো শুরু করেন সুকান্ত। শেষ হয় পঞ্চকোট হাই স্কুল লাগোয়া তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ের অদূরে। এর আগে কাশীপুর ব্লকে গঙ্গাসাগর মেলার উদ্দেশে যাওয়া সাধুদের নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, “রাবণের সরকার থাকলে সাধু-সন্তদের উপরে নিগ্রহ বাড়বেই। এই সরকারকে উৎখাত করে রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই সময় এসে গিয়েছে।”
এ দিনের কর্মসূচিতে প্রচুর কর্মী-সমর্থকের জমায়েতের দাবি করেছে বিজেপি। জ্যোর্তিময় বলেন, “তীব্র গরম উপেক্ষা করেই হাজার, হাজার কর্মী-সমর্থকেরা এসেছিলেন।” এর আগে তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতোর সমর্থনে কাশীপুরে রোড-শো করে গিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রচারক তথা প্রার্থী দেব। এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতির রোড-শোয় কেমন ভিড় হয়, তা দেখতে নজর ছিল সবার। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার যদিও দাবি, দেবের রোড-শোয় যা ভিড় হয়েছিল, এ দিন তার অর্ধেকও হয়নি।
এ দিন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সারেঙ্গা ও রাইপুরেও রোড-শো করেন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। সারেঙ্গায় রোড-শোর মাঝে সুকান্ত বলেন, “তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে সন্দেশখালিকে সমর্থন করা। বিজেপির সরকার গঠন হলে আমরা এখানে শিল্পস্থাপন করব, কর্মসংস্থানও হবে। আপনারা আশীর্বাদ করে যদি ৩০টা (আসন) পার করে দেন, এক বছরের মধ্যে দিদির (মমতা) সরকার গিয়ে নবান্নে মোদীর সরকার তৈরি হবে।” বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর পাল্টা, “বাংলার মানুষ আর বিজেপির কথায় ভুলবেন না। এ বার ওদেরই বাংলা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy