—প্রতীকী চিত্র।
নির্বাচনের দিন এখনও ঘোষিত হয়নি। কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা হবে দিল্লি থেকে। তবে প্রার্থী কে হতে পারেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। প্রশ্ন উঠছে, ফের কংগ্রেসের ভরসা কি বিড়ি মালিকেই? নাকি ফরাক্কার কোনও যুবনেতা?
দুদিন আগে কলকাতার বৈঠকে একাধিক নাম নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্র ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের সভায়। সেখানে হাজির ছিলেন এ রাজ্যের দলের পর্যবেক্ষক ও কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতা গোলাম আহমেদ মীর, সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বি পি সিংহ। বিভিন্ন কেন্দ্রের মতো তিনটি নাম জঙ্গিপুর আসনের জন্য বাছাই হয়েছে। এঁদেরই এক জন বিড়ি মালিক সাজাহান বিশ্বাস। তিনি তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের নিজের দাদা। দ্বিতীয় জন প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি আসিফ ইকবাল। আসিফ মাস্টার্স করেছেন। যুব কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনে প্রায় ৩৫ হাজার কর্মীর ভোট পেয়ে জিতে পদ পেয়েছেন। রাহুল গান্ধী পশ্চিমবঙ্গে এলে তাঁর সঙ্গেও দীর্ঘ ৪০ মিনিট ধরে আলোচনা হয় আসিফের সঙ্গে। সেখানে আসিফ এ রাজ্যে কংগ্রেসের হাল নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন রাহুলকে। আসিফকে ৮ মার্চ দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন কংগ্রেস নেতা বেণুগোপাল। আর তালিকার তৃতীয় জন হাসানুজ্জামান বাপ্পা। জঙ্গিপুরের মহকুমা সভাপতি। দল সূত্রে খবর, তিনি নিজেই অধীর চৌধুরীকে জানিয়েছেন প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে তাঁর আগ্রহের কথা। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সবাপতি অধীর চৌধুরী কার কথা ভাবছেন, তা এখনও সামনে আসেনি।
কংগ্রেসের এক ব্লক সভাপতির কথায়, “এই তিন জনকে নিয়েই দল ভাবছে তা কিন্তু নয়। তবে এটুকু বলতে পারি বিড়ি মালিক কাউকে দল প্রার্থী করলে সাধারণ কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের কাজে নামানো এবারে কঠিন হবে।” তার কারণ, বাইরন বিশ্বাস কংগ্রেসের টিকিটে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জেতার পরেও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সেই উদ্বেগ কংগ্রেসের রয়েছে।
কংগ্রেসের প্রার্থী জঙ্গিপুরে কে সে দিকে নজর শাসক দল তৃণমূলেরও। কিন্তু ঝেড়ে কাশছেন না কংগ্রেসের পদাধিকারী নেতারা।
সাগরদিঘিতে বাইরনের ভোট প্রচারের প্রধান মুখ এক কংগ্রেস নেতা বলছেন, “প্রার্থী ঠিক করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে সাধারণ কর্মীরা চান যুব সংগঠনের কোনও নেতাকে জঙ্গিপুরে কংগ্রেসের প্রার্থী করা হোক। সংখ্যালঘু এলাকায় ভাল লড়াই দিতে পারবেন, আর্থিক দিক দিয়ে সবল এমন নেতাকেই প্রার্থী করা হোক। বিড়ি মালিক ও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ কেউ প্রার্থী হলে দ্বিতীয় বাইরন হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকবে। সেক্ষেত্রে কার্যত ওয়াকওভার পাবে শাসক দল তৃণমূল।”
বিড়ি মহল্লার কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস বলছেন, “কংগ্রেসকে কোনও অবস্থাতেই বিড়ি মালিককে প্রার্থী করা চলবে না।” কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দাস বলছেন, “প্রার্থী নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা হচ্ছে। বহরমপুরে বসে তা কি বলা যায়? তবে জঙ্গিপুরে লড়াই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy